কলকাতা: প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন তিনি। তবে একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল পদক। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ-এ দেশের জন্য পদক জয় স্বপ্ন হয়েই থেকে গেল তাঁর কাছে। জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিলেন আগরতলার দীপা কর্মকার।
ত্রিপুরার দীপা রিও অলিম্পিক্সে ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন। তার পর থেকে চোটের সমস্যায় জেরবার ছিলেন তিনি। সোমবার নিজের সোশাল মিডিয়ায় অসবরের ঘোষণা করেন এই তারকা জিমন্যাস্ট।
আরও পড়ুন- বলুন তো, টেস্ট ক্রিকেটে কেন থাকে চা বিরতি? ক্রিকেটের সঙ্গে চা পানের কী সম্পর্ক!
৩১ বছর বয়সেই জিমনাস্টিক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। রিও অলিম্পিক্সে পোল ভল্টেও সেবার নজর কেড়েছিলেন দীপা। সিমোনে বাইলসদের প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ কয়েক বছর ধরেই ডান পায়ের এসিএলে চোট ভোগাচ্ছে তাঁকে।
আরও পড়ুন- মারলেন, কিন্তু দেখলেন না! ক্রিকেটে নতুন শট! কেন পান্ডিয়া সেরা অলরাউন্ডার, দেখুন
দুবার পায়ে অস্ত্রোপচারও হয়েছে। মনের জোরে চালিয়ে যাচ্ছিলেন খেলা। চলতি বছরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় জিমনাস্ট হিসেবে জিতেছিলেন সোনার পদক। তবে আর যেন শরীর চলছিল না!
হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ দিলেই নতুন করে চোটের জায়গায় ব্যথা শুরু হচ্ছিল তাঁর। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন দীপা। একটা সময় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও প্রোদুনোভা ভল্ট দিয়ে ক্রীড়াবিশ্বে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন দীপা।
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের ভল্ট ইভেন্টের ফাইনালে ওঠেন দীপা। তাঁকে চতুর্থ হয়েই থামতে হয়। মাত্র ০.১৫ পয়েন্টের জন্য হাতছাড়া হয় ব্রোঞ্জ পদক। তবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে অবশ্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি তিনি। রিও অলিম্পিক্সের পর চোটের জন্য একাধিক প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি দীপা। ২০২২ সালে ডোপিং আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে দুবছরের জন্য নির্বাসিত হন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর আর বড় কোনও প্রতিযোগিতায় দেখা যায়নি তাঁকে।