দেশ জুড়ে আবহাওয়ার মুড বদল অব্যাহত। আইএমডি বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে একাধিক রাজ্যে।বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে, বর্ষা প্রত্যাহারের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে।দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর এবং লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালন চিহ্নিত করা হয়েছে, যা মধ্য-ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পাশাপাশি, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ তামিলনাড়ু উপকূলের নিম্ন স্তরে আরেকটি সাপোর্ট সার্কুলেশন (ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালন) রয়েছে।এই দুটি ঘূর্ণাবর্তের সংযোগকারী একটি সিস্টেম দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং কেরলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত প্রভাবের কারণে, আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কেরল-কর্নাটক উপকূলে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এই নিম্নচাপ এলাকা এবং এর সঞ্চালন আগামী ২-৩ দিন সামান্য পরিবর্তন-সহ ওই এলাকায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সক্রিয় আবহাওয়া সিস্টেমটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরব সাগরে প্রবাহিত হতে পারে।আরব সাগরে আবহাওয়া সিস্টেমের তীব্রতা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ তামিলনাড়ুর দিকে অগ্রসর হওয়া সঞ্চালন মূল সিস্টেমে মিশে যেতে পারে। এই সিস্টেমের দিক, সময় এবং তীব্রতা সঠিকভাবে অনুমান করতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে।আজ থেকে সপ্তাহান্ত পর্যন্ত কেরল, উপকূলীয় কর্ণাটক এবং কোঙ্কন ও গোয়াতে আবহাওয়ার কার্যকলাপ তীব্র হতে পারে৷ এই এলাকায় বৃষ্টির তীব্রতা এবং ব্যাপ্তি পরিবর্তিত হবে। ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি কেরলে তীব্র ও মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।আবহাওয়া সিস্টেম আরও শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি উপকূলীয় কর্ণাটক, দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, গোয়া এবং কোঙ্কনের দক্ষিণ অংশে ভারী এবং তীব্র বৃষ্টিপাত হতে পারে।ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া দফতর এই অঞ্চলগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে যার মধ্যে প্রধানত, উপদ্বীপ এবং উত্তর-পূর্ব ভারত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।এদিকে, আগামী কয়েকদিন দিল্লির আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হবে না। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা ছাড়াই আকাশ বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার থাকবে।এরইমধ্যে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলিতে একটি হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। ইয়েলো অ্যালার্ট থাকছে লাক্ষাদ্বীপ, তামিলনাড়ু, কেরল, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও উপকূলীয় কর্ণাটকে।দক্ষিণ উপদ্বীপের ভারতে, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল এবং মাহে, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং করাইকাল, উপকূলীয় এবং দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটকে মোটামুটি বিস্তৃত থেকে বিস্তৃত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।এদিকে, ৯ অক্টোবর উত্তর অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, রায়ালসিমা, তেলেঙ্গানা, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানামে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষিপ্ত থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই রকম আবহাওয়ার পরিস্থিতি আগামী ছয় দিন অব্যাহত থাকবে।উত্তর-পূর্ব ভারতে, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে আজ বুধবার একটি বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করে আইএমডি সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৫-৪৫ কিমি ঘণ্টা বেগে বাতাস বইতে পারে এবং তাই, মৎস্যজীবীদের এই সময়ের মধ্যে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।বাংলার আবহাওয়া : তবে এখনও পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে পুজোয় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই বাংলায়। পুজোর মধ্যে স্থানীয় ভাবে দু-এক জায়গায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে পারে। বিক্ষিপ্ত ভাবেই দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুজোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। সকালের দিকে মূলত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা। বিকেল বা সন্ধের দিকে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এ সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম থাকবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে না।
