কলকাতা Junior Doctors Hunger Strike: দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসকদের! বেসরকারি হাসপাতালও এগিয়ে এল অনশনকারীদের পাশে Gallery October 14, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর কাণ্ডে বিচার এখনও অধরা। দেশ জুড়ে জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে বাকি সমস্ত পরিষেবায় কর্মবিরতির ডাক ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলনের সমর্থনে সোমবার আংশিক কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বন্ধ রয়েছে ওপিডি পরিষেবা। চালু রয়েছে ইমারজেন্সি এবং ক্রিটিকাল কেয়ার পরিষেবা। প্রতীকী অনশনে রয়েছেন বেশ কিছু সিনিয়র চিকিৎসকেরাও। সল্টলেক ILS হসপিটালে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। সেই সঙ্গে তাঁরা ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনেও বসেছেন। হাসপাতালের মধ্যেই রীতিমতো অবস্থানে বসে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। নন এসেন্সিয়াল সার্ভিস, এবং সেই সমস্ত অপারেশন, যেগুলিতে একটু দেরি করলে সেই অর্থে কোনও অসুবিধা হবে না, সেই ধরনের কাজগুলি তাঁরা আপাতত করছেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু জরুরি বিভাগ সহ পূর্ব নির্ধারিত অপারেশন এবং একান্ত প্রয়োজনের tele medicine এর ব্যবস্থা আগের মতই স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মবিরতিতে থাকা ডাক্তাররা। ILS হসপিটালের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন ডাক্তার বাবু আজকের এই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত অনশনরত চার জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচি। প্রথমে ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার শুরু করেছিলেন। পরে ধাপে ধাপে আরও জুনিয়র ডাক্তার যোগ দেন অনশনে। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত চার জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় জুনিয়র ডাক্তারেরা রবিবার রাতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কেন চুপ? আমরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।” আন্দোলনকারীরা আরও বলেছেন, “এত দিন হয়ে গেল, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে কোনও কথা শুনতে পাচ্ছি না। আমরা শুনতে পাচ্ছি মুখ্যসচিবের থেকে একটা মেল, কোনও একটা কুণাল ঘোষ, কোনও ছুটকো-ছাটকার বিরূপ প্রতিক্রিয়া।’’ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-সহ সব চিকিৎসক সংগঠনকে সোমবার বৈঠকের জন্য ডেকেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় স্বাস্থ্যভবনে ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স’ ফ্রন্টকে ওই বৈঠকের জন্য ডাকা হয়নি। কোন কোন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সোমবারের বৈঠকে যোগ দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের আশা, চিকিৎসক সংগঠনগুলি যে ভাবে শুরু থেকে আন্দোলনের পাশে থেকেছে, আগামী দিনেও সেই ভাবেই পাশে থাকবে। জরুরি অবস্থায় কোনও রোগী এলে অবশ্যই চিকিৎসা করা হবে, ঘোষণা বেসরকারি চিকিৎসকদের, ডোরিনা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন চিকিৎসকরা। এই সময়ে জরুরী পরিষেবা বন্ধ না থাকলেও ব্যক্তিগত চেম্বারও বন্ধ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।