‘শাহেনশাহ’-র শ্যুটিংয়ের আগেই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অমিতাভ; জিতেন্দ্রর কাছে অফার যেতেই এ কী বলেছিলেন তিনি?

Amitabh Bachchan: ‘শাহেনশাহ’-র শ্যুটিংয়ের আগেই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অমিতাভ; জিতেন্দ্রর কাছে অফার যেতেই এ কী বলেছিলেন তিনি?

মুম্বই:  ভারতীয় সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) ‘শাহেনশাহ’ বলিউডের কিংবদন্তি ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এই ছবিটা তৈরিই হত না। কারণ শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগেই অমিতাভ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মায়াস্থেনিয়া গ্র্য়াভিসের মতো বিরল অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুপারস্টার। যার জেরে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।
আসলে ‘কুলি’ ছবিতে মারামারির দৃশ্যের জেরে প্রায় মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিলেন অমিতাভ। এ কথা তো সকলেরই জানা!

আরও পড়ুন- দাবির পিঠে পাল্টা দাবি! মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী রফা হল? জানালেন সিনিয়র ডাক্তাররা

তারপরেই এমন বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অমিতাভ। ফলে শাহেনশাহ করতে অস্বীকার করেন তিনি। এদিকে মুশকিলে পড়েন পরিচালক টিনু আনন্দ! কারণ পাওনাদাররা তত দিনে তাঁর দোরে এসে টাকা চাইছিলেন। রেডিও নাশা-র সঙ্গে সাম্প্রতিক এক আলাপচারিতায় টিনু আনন্দ জানান যে, অমিতাভের জায়গায় অন্য কাউকে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছিল। কিন্তু কাউকেই সেই জায়গায় মানাচ্ছিল না। টিনু বলেন যে, “তত দিনে ইউনিট, বিমানের টিকিট এবং সব কিছুর জন্য হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে পাওনাদাররা আমার দরজায় ঘুরতে শুরু করেন। টাকা ফেরত চান তাঁরা। আর সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল। তাই অমিতাভের জায়গায় অন্য অভিনেতার সন্ধান শুরু করি। যদিও তাঁর জায়গায় কাউকেই মানায় না।”

আরও পড়ুন- অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? কোন ভিটামিনের ঘাটতি শরীরে, জানলে চমকাবেন! বড় ক্ষতির আশঙ্কা আছে কি?

টিনু আনন্দ আরও বলেন যে, ‘শাহেনশাহ’-র চরিত্রে অমিতাভের জায়গায় জ্যাকি শ্রফ এবং জিতেন্দ্রর মতো তারকাদের কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের ‘শাহেনশাহ’ বানাতেই হত। একটা বছর হয়ে গিয়েছিল। জ্যাকিই প্রথম রাজি হয়েছিলেন। আর অমিতাভের জায়গায় অভিনয় করার খবরে তিনি যে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে গিয়েছিলেন, সেটা উপভোগ করছিলেন জ্যাকি। এমনকী এই হইচইয়ের জন্য তিনি আরও কয়েকটি ছবি সাইন করেছিলেন। অন্যদিকে জিতেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আমার মনে হয় না, আমি অমিতাভের জুতোয় পা গলাতে পারব।”

ফলে টিনু আনন্দ বুঝতে পারেন যে, ‘শাহেনশাহ’ হিসেবে অমিতাভের জায়গায় কাউকেই মানাবে না। ফলে ছবিটি স্থগিত হয়ে যায়। এই সময়টা বেশ কঠিন ছিল তাঁর জন্য। এমনকী পরিচালক এ-ও জানান যে, এক বছর তীব্র অনটনের সঙ্গে লড়তে হয়েছিল তাঁকে।
তবে বলাই বাহুল্য যে, ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভের কেরিয়ারের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে গিয়েছে। দুর্ধর্ষ চিত্রনাট্য আর অমিতাভ বচ্চনের তুখোড় অভিনয়–সব মিলিয়ে দারুণ সাফল্য এসেছিল ছবির ঝুলিতে। আর এই ছবির সেই বিখ্যাত ডায়লগ ‘রিশতে মেঁ তো হাম তুমহারে বাপ লগতে হ্যায়’, যা আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে।