কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করলেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Junior Doctor’s Hunger Strike: অনশনে জুনিয়ররা, হঠাৎ কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে বামপন্থী সিনিয়র চিকিৎসক! তুমুল জল্পনা

কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন কর্মসূচির মধ্যেই আচমকা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করলেন বামপন্থী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতার অন্যতম সিনিয়র এই চিকিৎসক এ দিন প্রায় দু ঘণ্টা তৃণমূল নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠক শেষে দু জনেই স্বীকার করেছেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে তৈরি হওয়া জট কাটানোর পথ বের করতেই এ দিনের আলোচনা হয়েছে৷

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নিয়মিত বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সিনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ সহ তৃণমূল নেতারা৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার মতো অভিযোগও তোলা হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে৷ পাল্টা শাসক দলের বিরুদ্ধে সরাসরি অথবা পরোক্ষে মুখ খুলেছিলেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ সেই তিনিই এ দিন কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে আসায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়৷

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে থাকা ২০ লক্ষই শেষ ভরসা, চরম টানাটানিতে সন্দীপ ঘোষ! কী আবেদন করলেন হাইকোর্টে?

এ দিন সন্ধ্যায় মধ্য কলকাতায় কুণালের দফতরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দু ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি যখন বেরোন, তখন তাঁর হাতে দেখা যায় কুণাল ঘোষের লেখা বই ‘সংকেত৷’

বৈঠক শেষে নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা নিয়ে সিনিয়র চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ চেয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের বাকি দাবিগুলি পূরণ করে সমস্যার সমাধানের পথ বের করতেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছেন তিনি৷ আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলেই দাবি করেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও দাবি করেন, রাজ্য সরকার এবং শাসক দল জুনিয়র চিকিৎসকদের সমস্ত দাবি নিয়েই সহানুভূতিশীল৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে৷ বাকি দাবিগুলি নিয়ে তৈরি হওয়া জট কাটাতে কিছুটা সময় লাগবে৷ কিন্তু যেভাবে রাজনৈতিক কয়েকজন নেতার পরামর্শে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে সমস্যা সমাধান হওয়ার বদলে আরও জটিল হবে বলেই দাবি করেন তৃণমূল নেতা৷

তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পিছনে বাম অথবা অতি বাম সংগঠনের মদত রয়েছে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবারের বৈঠকের রেশ ধরে শেষ পর্যন্ত সত্যিই রাজ্য সরকার এবং চিকিৎসকদের মধ্যে তৈরি হওয়া সংঘাত দূর হওয়ার পথ বেরোয় কি না, সেটাই দেখার৷