রেলে এই মুহূর্তে রয়েছে প্রচুর শূন্যপদ। শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিম জোনেই যা ১০ হাজারের বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে রেল দুর্ঘটনা এত বেড়ে যাওয়ার পিছনে কর্মীসংখ্যা কম হওয়াকেও বড় কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। সেই কারণেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের নতুন করে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল রেল।
ইতিমধ্যেই একাধিক জোনে রেলের তরফে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মীদের নিয়োগের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যে সব কর্মীরা কাজে যোগ দিতে চান। তাদের নিজে থেকেই আবেদন করতে হবে। এর পর জেনারেল ম্যানেজাররা তাঁদের অবসর নেওয়ার আগের পাঁচ বছরের কনফিডেনশিয়াল রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন, সেখানে সেই কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি, বিভাগীয় তদন্ত হয়েছিল কি না।
আরও পড়ুন: বলুন তো বাথরুম এবং ওয়াশরুমের মধ্যে পার্থক্য কী? এক নয় কিন্ত মোটেই…৯৯%ই ভুল উত্তর দিয়েছেন
কর্মজীবনে স্বচ্ছ থাকলে এর পরে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা নিয়ে দেখা হবে সংশ্লিষ্ট কাজে তাঁদের কর্মক্ষমতা আছে কি না। এই ধাপ পার করলে দু’বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে আবেদনকারীদের। এই সময়ে তাঁরা শেষ যে বেতন পেয়েছিলেন, তার থেকে বর্তমানে যে পেনশন পাচ্ছেন, তার বেসিক অর্থ বাদ দিয়ে মাসিক পারিশ্রমিক পাবেন তাঁরা। কাজের প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে, সেই বাবদ ভ্রমণ ভাতাও পাবেন তাঁরা। যদিও এর বাইরে কোনও অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন না।
বছর শেষে পারিশ্রমিকে বৃদ্ধিও হবে না। কর্মী ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে, ভারতীয় রেল ৬৫ বছরের কম বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পুনরায় নিয়োগ করবে। এই প্রকল্পের অধীনে ৬৫ বছরের কম বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা সুপারভাইজার এবং ট্র্যাক ম্যান-এর মতো পদগুলির জন্য আবেদন করতে পারেন।এই নতুন স্কিমের অধীনে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা কার্যক্ষম প্রয়োজন এবং কর্মক্ষমতা মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে এক্সটেনশনের সম্ভাবনা সহ দুই বছরের জন্য কর্মীবাহিনীতে পুনরায় যোগদান করার সুযোগ পাবেন।
সমস্ত জোনাল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নিশ্চিত করা হয়েছে যে প্রার্থীরা তাদের গত পাঁচ বছরের চাকরি থেকে মেডিকেল ফিটনেস মূল্যায়ন এবং পারফরম্যান্স রেটিং-সহ কঠোর মানদণ্ড পূরণ করে। উপরন্তু, আবেদনকারীদের অবশ্যই তাদের গোপনীয় প্রতিবেদনে অনুকূল মূল্যায়ন প্রাপ্ত হতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও মুলতুবি সতর্কতা বা বিভাগীয় পদক্ষেপ থাকতে হবে না।
আর্থিকভাবে, পুনর্নিযুক্ত কর্মীরা তাদের মূল পেনশন বিয়োগ করে তাদের শেষ টানা বেতনের সমান মাসিক বেতন পাবেন। এই ক্ষতিপূরণ কাঠামোটি ভারতীয় রেলওয়েকে আরও কার্যকরভাবে খরচ পরিচালনা করতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, কারণ পুনর্বাসিত কর্মচারীরা অতিরিক্ত সুবিধা বা ইনক্রিমেন্টের অধিকারী হবেন না। তারা যাতায়াতের জন্য এবং অফিসিয়াল দায়িত্বের জন্য ভ্রমণ ভাতাও পাবে, যা কর্মশক্তিতে পুনরায় যোগদানের আর্থিক বোঝা কমাতে সহায়তা করবে।