কলকাতা: সোমবারেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফের বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১০ দফা দাবি জানিয়ে ‘আমরণ অনশন’ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত শনিবারই আন্দোলনরত চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন বৈঠকের আগেই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কয়েকাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণালের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক সফল হোক। যদি জেদ করে বৈঠক ভেস্তে কাল স্বাস্থ্য ধর্মঘট হয়, তাহলে যদি বাংলার কোনও রোগীর ক্ষতি হয়, নিকটবর্তী থানায় ডাঃ দেবাশিস হালদার, ডাঃ অনিকেত মাহাতোর নামে FIR করুন। কারণ এরাই মূল প্ররোচক। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ডাক্তার।’’
আরও পড়ুন: বলুন তো বাথরুম এবং ওয়াশরুমের মধ্যে পার্থক্য কী? এক নয় কিন্ত মোটেই…৯৯%ই ভুল উত্তর দিয়েছেন
যদিও কুণালের কথায়, ডাঃ কিঞ্জল নন্দ এই বিশৃঙ্খলায় একমত নয়। তিনি বলেন, ‘‘ তবে ডাঃ কিঞ্জল নন্দর নাম দেবেন না। কারণ ও ওদের সঙ্গে থাকলেও, সূত্রের খবর, বিশৃঙ্খলায় একমত নয়।’’
তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘‘আগামীকাল রোগীর ক্ষতি হলে দেবাশিষ, অনিকেতের নামে স্থানীয় থানায় এফআইআর করুন। চিকিৎসা পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। কিঞ্জল নন্দ মন থেকে নেই। তাই ওর নামে এফআইআর করবেন না।’’ যদিও এ প্রসঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডাঃ কিঞ্জল নন্দ।
আন্দোলনকারী চিকিত্সক ডাঃ কিঞ্জল নন্দ জানিয়েছেন, ‘‘সিদ্ধান্ত শুধু অনিকেত বা দেবাশিস হালদার নেয়নি, সিদ্ধান্ত WBJDF নিয়েছে। প্রথম দিন থেকে আমরা আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু উৎসব চলায় সেটা সম্ভব হয়নি। আর মিটিং ভেস্তে দেওয়ার কথা যদি বলেন, অনশনে বসার আগে ২ বার মেইল করা হয়েছিল, যার উত্তর দিতেই আপনারা ভুলে যান। তাই সমস্যা সমাধান করার সদিচ্ছের প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। যেচে পড়ে কেউ আন্দোলন করতে আসে না, ডাক্তারিতে অনেক কাজ থাকে। যাই হোক, ডাক্তার না হলে সেটা বোঝানো খুব মুশকিল। ব্যক্তি আক্রমণটা স্বভাব হয়ে গিয়েছে।’’