কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে নিজের ২৬ দিনের অনশনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় ২৬ দিন অনশন করলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাঁর খোঁজ নিতে যায়নি৷ কিন্তু তিনি অনশনকারী চিকিৎসকদের কাছে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের মতো শীর্ষ আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, তিনিও নিজেও প্রতিদিন অনশনকারী চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
একই সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন তোলার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন শুরু করলে আন্দোলন শেষ করতেও জানতে হয়৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নরসিমহা রাও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর অনুরোধেই একুশ দিনের ধর্না অবস্থান প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন: দুটি নাম নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘নাম নেবেন না’!
জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ২৬ দিন অনশন করেছি, সরকারের কেউ খোঁজ নিতে আসেনি৷ আমি তো মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছি৷ যাঁরা অনশন করছে, প্রতিদিন তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছি৷ তোমরা রাস্তায় থাকলে আমি ঘরে ঘুমোতে পারি না৷ ও ভাবে আমি ভাবতে পারি না৷’
তবে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য স্বীকার করেন, তিনি অনশন করার সময় মেধা পটকরের মতো অনেক সমাজকর্মী তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এসেছিলেন৷ পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধির কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সামনেই দাবি করেন, প্রতি ঘণ্টায় তিনি অনশনকারী চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন৷ এ দিন তিন জন অনশনকারী চিকিৎসকের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছু বেশি পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন প্রত্যাহার করলে তাঁদের যাতে যথাযথ চিকিৎসা হয়, সেই পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷