জ্যোতিষকাহন Narak Chaturdashi 2024: মাত্র ৬০ সেকেন্ডেই বদলাবে জীবন! ভূত চতুর্দশীতে করুন এই কাজ, সৌভাগ্যের দ্বার খুলবে ৭ দিনেই Gallery October 28, 2024 Bangla Digital Desk *আমরা বাঙালিরা যাকে ভূত চতুর্দশী বলে চিনি, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তাকেই বলা হয়ে থাকে কালী চৌদস বা কালী চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশী। বাঙালিদের এ দিন চোদ্দ শাক খাওয়ার রেওয়াজ তো আছেই। তা বাদ দিলেও বস্তুত, দীপ দানের পর্ব শুরু হয়ে যায় এই দিন থেকেই। সংগৃহীত ছবি। *এই কারণেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তা ছোটি দিওয়ালি নামেও ব্যাপক ভাবে পরিচিত। সনাতন ধর্মে নরক চতুর্দশীর দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কালীপুজোর আগের দিন নরক চতুর্দশী বা ছোট দীপাবলি নামেও পরিচিত। সংগৃহীত ছবি। *এই তিথিতে যমের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১৬,০০০ গোপিনীকে রক্ষা করেছিলেন এবং প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা নরকাসুরকে বধ করে বিজয় অর্জন করেছিলেন। সংগৃহীত ছবি। *এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই বছর নরক চতুর্দশী কবে এবং কেন এই উপলক্ষ্যে যমদেবের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বালানো হয়। পরিবারের সুখের জন্য আগামী ছোট দীপাবলিতে গ্রহণ করা যায় এই প্রতিকার। বাধা কেটে এক মিনিটেই হয়ে যাবে জীবন মসৃণ। সংগৃহীত ছবি। *নরক চতুর্দশী কখন: অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম জানিয়েছেন যে, হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি ৩০ অক্টোবর দুপুর ১.১৫ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এবং পরের দিন ৩১ অক্টোবর দুপুর ৩.৫২ মিনিটে শেষ হবে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নরক চতুর্দশী পালিত হবে ৩০ অক্টোবর। সংগৃহীত ছবি। *নরক চতুর্দশীর নিশ্চিত প্রতিকার: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই উপলক্ষ্যে প্রদীপ দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। নরক চতুর্দশীর সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী নরক চতুর্দশীর দিন প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে অকালমৃত্যুর ভয় থাকে না। সংগৃহীত ছবি। *সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ পাওয়া যায়, যমদেবের আশীর্বাদও পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে যমের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বালানো প্রয়োজন, কারণ শাস্ত্রেও এটি বাধ্যতামূলক বলে বিবেচিত হয়েছে। সংগৃহীত ছবি। *যমের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বালানোর গুরুত্ব: দীপাবলির আগের রাতে বাড়িতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হয়। মৃত্যুর দেবতা যমরাজের উদ্দেশে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, নরক চতুর্দশীর দিন যমের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে অকালমৃত্যুর ভয় দূর হয়। এটিও প্রার্থনা করা হয় যে, যমদেব নরকের দরজা বন্ধ করে দেন এবং আমাদের সুস্থ রাখেন। যারা এটি করে তারা যমের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়। সংগৃহীত ছবি।