০১ এপ্রিল থেকে ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) সফলভাবে ৭৪টি স্পেশাল ট্রেন পরিচালন করেছে, যা এই অঞ্চলের পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলের যাত্রীদের প্রশংসনীয় পরিষেবা প্রদান করেছে। এই সময়ের মধ্যে এনএফআর ৬৭৩টি ট্রিপ পরিচালন করে উপরের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ৯.৯ লক্ষেরও অধিক যাত্রীর চাহিদা পূরণ করেছে। এই স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি পরিচালনের ফলে আনুমানিক ৯৪.১৩ কোটি টাকারও বেশি এক আকর্ষণীয় পরিমাণের অর্থরাশি উপার্জন হয়েছে, যার দ্বারা পরিষেবার মান বৃদ্ধি এবং রেল যাত্রীদের বর্ধিত ভ্রমণ চাহিদার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লিট্টি চোখার খেলেই মিলবে ফ্রি ‘উপহার’! একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে
যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করতে উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে মোট ৮.৮৩৭ লক্ষ অতিরিক্ত বার্থ প্রদান করা হয়। পূর্ববর্তী অর্থবর্ষের ১ এপ্রিল, ২০২৩ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত যেখানে ১০০টি স্পেশ্যাল ট্রেন পরিচালন করা হয়েছিল, তার তুলনায় চলিত বছরের প্রদর্শন অত্যন্ত উৎসাহজনক। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১,১৪৪টিরও বেশি ট্রিপ পরিচালন করা হয়েছে, যার দ্বারা বার্ষিক উপার্জন হয়েছে ১০৯.৫৮ কোটি টাকা। এভাবে, একই সময়ে পূর্ববর্তী অর্থবর্ষ ২০২৩-২৪-এর সঙ্গে ১ এপ্রিল থেকে ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ পর্যন্ত প্রদর্শন ও রাজস্ব উপার্জন উভয় ক্ষেত্রেই এক উল্লেখযোগ্য উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
বর্তমান সময়ে ইতিমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মোট রাজস্ব উপার্জনের প্রায় ৮৫.৯০ শতাংশ মাত্র সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে চলতি দুর্গা পূজা, দীপাবলি ও ছট পূজার মরসুম উপলক্ষে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ১৩ জোড়া অথবা ২৬টি স্পেশ্যাল ট্রেন পরিচালন করা হচ্ছে। সুতরাং, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই শুভ সময়ে উৎসব স্পেশাল ট্রেনের ২৩৮টি ট্রিপ সম্পূর্ণ করবে। স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি এই উৎসব ট্রেনগুলি অমৃতসর, বাঙ্গালুরু, গোরখপুর, প্রয়াগরাজ, কলকাতা, আনন্দ বিহার, শ্রী গঙ্গানগর ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থলগুলিকে আওতাভুক্ত করেছে, যার মধ্যে যাত্রা পথের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থানগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সময়ে এই স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি জোনের মধ্যে এবং আগরতলা, নাহরলগুন, শিলচর, নিউ তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, কাটিহার ইত্যাদি সহ অন্যান্য সংলগ্ন অঞ্চলগুলির মধ্যে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি করবে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এখনও কয়েকটি মাস অবশিষ্ট রয়েছে, এরই মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিগত বর্ষে নির্ধারিত অপারেশনাল বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করতে প্রস্তুত হয়েছে। স্পেশ্যাল ট্রেন পরিচালন করার ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রদর্শিত দক্ষতা এবং যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা এই ইতিবাচক ফল সৃষ্টি করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।