কলকাতা: শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ট্রেন পরিসেবা। মূলত সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে শিয়ালদহ স্টেশনের দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন প্লাটফর্মের রেললাইনে জল জমে যায়। জল জমে যাওয়ায় রেললাইনে থাকা ‘পয়েন্ট’-সিগন্যাল ও অকেজো হয়ে পড়ে।
তবে, ট্রেন পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়নি। কোথাও কোথাও ‘পেপার সিগন্যালের’ সাহায্যে ট্রেন চালানো হয়। বেলা বাড়লে আবহাওয়ার একটু উন্নতি হলে পাম্প চালিয়ে দ্রুত জল বের করার কাজ শুরু করা হয়।
এছাড়াও কাকদ্বীপ, নামখানা, ক্যানিং-সহ উপকূলবর্তী স্টেশনগুলিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে রেলের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাত্রী সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান রেল আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জল জমলেও নামতে আর কতক্ষণ? জানিয়ে দিলেন মেয়র! রয়েছে বড় ‘শর্ত’ও
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, ট্রেন পরিসেবায় ব্যাঘাত ঘটেছে। কিন্তু যাত্রী সাধারণকে আশ্বাস দিতে চাই আপনারা নিশ্চিন্তে ট্রেনে চড়ুন। কোনও ট্রেন বাতিল হবে না।”
আরও পড়ুন: ভয় ছিল, কেন ততটাও ভয়াল রূপ নিল না দানা? জবাব দিলেন আবহাওয়া দফতরের শীর্ষ কর্তা
এমনিতেই, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র কারণে আজ, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের ভিতরের দিকে যত প্রবেশ করার পর থেকেই শক্তি হারিয়েছে। শনিবার ভোরের মধ্যে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে রূপ নেবে। শিয়ালদহ দক্ষিণ ও হাসনাবাদ শাখায় সকাল ৯’টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। (শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে) ৷
সকাল ১০টা থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। হাওড়া ডিভিশনে মেন ও কর্ড সেকশনে সকাল ১০টা পর্যন্ত একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল ছিল। ১০টার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ১৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ৷ সকাল ৯টা ৫০-এর ডাউন সোনারপুর লোকাল সকাল দশটায় প্রথম ছাড়ে এদিন ৷ এরপর সকাল ১০:০৭ মিনিটে ডায়মন্ড হারবার লোকাল ছাড়ে ৷ যাত্রীরা কয়েকজন রাতভর শিয়ালদহ স্টেশনে কাটিয়েছেন। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে কিছুটা সমস্যায় স্বভাবতই পড়েছেন তাঁরা ৷