গলা জ্বালা, শ্বাসকষ্ট...একসঙ্গে অসুস্থ ৩০ পড়ুয়া! স্কুলের মধ্যে ভয়ানক কাণ্ড! কী ব্যাপার?

School Students: গলা জ্বালা, শ্বাসকষ্ট…একসঙ্গে অসুস্থ ৩০ পড়ুয়া! স্কুলের মধ্যে ভয়ানক কাণ্ড! কী ব্যাপার?

চেন্নাই: স্কুলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ল ছাত্রছাত্রীরা! হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে ৩ জনকে। বাকি অন্তত ৩০ জন গলায় ইনফেকশন এবং কোনও না কোনও অস্বস্তিতে কাবু। কিন্তু কারণটা কী? আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল নিমেষে।

চেন্নাইয়ের তিরুভোত্তিউরের একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা। প্রাথমিক অনুমান, কোনও এক রাসায়নিক নির্গত হওয়ায় এই অবস্থা হয়। সম্ভবত কোনও বিষাক্ত গ্যাস লিক করে স্কুলময় ছড়িয়ে গিয়েই এই বিপত্তি। এনডিআরএফ কমান্ডার এ কে চৌহান বলেন, “আমাদের টিম কেমিক্যাল ল্যাব খতিয়ে দেখছে এবং এয়ার-কন্ডিশনার ইউনিটও পরীক্ষা করেছে, আমরা এসি ইউনিট থেকে কোনও গ্যাস বা লিকেজের গন্ধ পাইনি। গ্যাস লিক হওয়ার সঠিক কারণ আমরা বলতে পারছি না। আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।”

আরও পড়ুন- উইলে ড্রাইভার, রাঁধুনিরও নাম রয়েছে, কিন্তু ভাই নোয়েলকে কিছুই দেননি রতন টাটা? কেমন ছিল তাঁদের সম্পর্ক?

স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তামিলনাড়ুর রাজধানীর স্ট্যানলি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। স্কুলের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) দলকে তদন্তের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল, যদিও এখনও কারণ অজ্ঞাত।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্কুলের ল্যাব থেকে কোনও গ্যাস নির্গত হয়নি। পুলিশও নিশ্চিত নয় যে ফাঁসটি স্কুল থেকে হয়েছে নাকি আশেপাশে একটি রাসায়নিক কারখানা ছিল। এমকে স্টালিনের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকর্তারাও সন্দেহভাজন গ্যাস লিকের তদন্তের জন্য স্কুল পরিদর্শন করেছেন।

গলা জ্বালা, শ্বাসকষ্ট...একসঙ্গে অসুস্থ ৩০ পড়ুয়া! স্কুলের মধ্যে ভয়ানক কাণ্ড! কী ব্যাপার?
 গলা জ্বালা, শ্বাসকষ্ট…একসঙ্গে অসুস্থ ৩০ পড়ুয়া! স্কুলের মধ্যে ভয়ানক কাণ্ড! কী ব্যাপার?

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্ট এবং চোখে জ্বালার কথা বলায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অন্যরা হঠাৎ বমি বমি ভাব অনুভব করে। এভাবেই স্কুলে আতঙ্ক ছড়ায়। এক ছাত্রীর কথায়, “আমাদের মধ্যে কয়েকজনকে বিশুদ্ধ বাতাস পেতে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল। এমনকি আমাদের শিক্ষকদেরও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়েছিল। কিছু ছাত্র অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল এবং আমাদের শিক্ষকরা তাদের জ্ঞান ফিরিয়েছিলেন।”

শিক্ষার্থীরা অসুস্থ বোধ করায়, স্কুল তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকে। স্কুলে আসা অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে অনেককে বহিরাগত রোগী হিসেবে চিকিৎসা করা হয়। সব মিলিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য।