লখনউ: সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি, আলোর রোশনাই, আর নানান স্বাদের মিষ্টিতে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করবার সময়। কিন্তু, উত্তর প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চমকে ওঠার মতন ঘটনা সামনে এসেছে।
নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ, উজ্জয়ন,ইনদওর -সহ একাধিক বড় শহরে নষ্ট হয়ে যাওয়া মিষ্টি বা জাল মিষ্টি বিক্রির ঘটনা সামনে এসেছে!
রাজ্যের পক্ষ থেকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর এবং খাদ্য সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। আর সেখানেই উঠে আসে এই তথ্য। ইতিমধ্যেই ওই সমস্ত দোকান থেকে ঘি এবং বেসনের তৈরি লাড্ডু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রায় ২০০ কেজির উপর পচা রসগোল্লা নষ্ট করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪৫ কেজি মিষ্টি বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করা হয়েছে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম ট্রেনারের সঙ্গে বচসা জের, চার মাস পর উদ্ধার মহিলার দেহ!
মধ্যপ্রদেশে ৩০০ কেজি জাল মাওয়া বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও শুধুমাত্র উজ্জয়ন থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২২৫ কেজি জাল মাওয়া।
এই প্রসঙ্গে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক সরবেশ মিশ্র বলেন, দীপাবলিতে যেকোনো মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি কিনে না খেতে। কারণ আপনি বুঝতেও পারবেন না কোনটা আসল মিষ্টি কোনটা নকল মিষ্টি। খাদ্য দফতরের রুটিন তল্লাশির সময়েই বিষয়টি নজরে আসে।
আরও পড়ুন: পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দিল মদ্যপ যুবক! প্রাণভয়ে ছোটাছুটি,তার পর?দেখুন ভিডিও
এছাড়াও ক্রেতাদের আরও বেশি করে সচেতন হতে হব বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক অমরজিৎ কৌর। তিনি বলেন, দীপাবলিতে রঙ বেরঙের মিষ্টি খাবেন না। রুপোলী তবক দেওয়া থাকলে ওই তবক হাতে নিয়ে ঘষে দেখুন। যদি তা মিলিয়ে যায় তবে তা খেতে পারেন। কিন্তু যদি তা হাতে বলের মতন গোল হয়ে আসে তাহলে তা অ্যালুমিনিয়াম।