বেঙ্গালুরু: কর্ণাটক রাজ্যের খাদ্য দপ্তর এবার খাবারের মানের বিষয়টিতে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে। ক্যাবেজ মাঞ্চুরিয়ানে কৃত্রিম রঙ এবং রসায়নের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এবার রাজ্যের ফুচকা প্রেমীরাও বেশ উদ্বিগ্ন৷ কারণ তারা ভয় পাচ্ছে যে, খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর এবার তাদের জিভে জল আনা খাবারটিও নিষিদ্ধ করে দিতে পারে।
খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ বিভিন্ন জনবহুল স্থান এবং শপিং মলে দ্রুত খাদ্য পরীক্ষার কিট স্থাপন করেছে৷ কারণ একাই, যাতে খারাপ মানের খাবার দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। ফুচকার মান নিয়ে একাধিক অভিযোগের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ৮ কোটির জন্য স্বামীকে খুন করল স্ত্রী, দেহ পুঁতল ৮০০ কিমি দূরে কফি বাগানে!
খাদ্য বিভাগ ফুচকার উৎপাদন কেন্দ্রগুলির উপর ঘনিষ্ঠ নজরদারি শুরু করেছে। তাদের খাদ্য পরীক্ষার অভিযান চালিয়ে ফুচকাকেও তাদের পর্যবেক্ষণে আনা হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন স্থানে ফুচকার নমুনা এলোমেলোভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। কর্ণাটকের ২০০টিরও বেশি ফুচকা তৈরির স্থানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সবজি কম কেন? প্যান দিয়ে বউকে পিটিয়ে হত্যা স্বামীর!
ফুচকা কীভাবে প্রস্তুত করা হয়, এতে কী উপাদান যোগ করা হয় এবং এর মানুষের স্বাস্থ্যে কী প্রভাব ফেলতে পারে, এই বিষয়গুলিই দেখতে চাইছে খাদ্য দপ্তর৷
গত দুই দিনে, খাদ্য বিভাগ ফুচকা তৈরি হয় এমন বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। পরীক্ষার জন্য যা যা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেগুলিকে আপাতত ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে৷ রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে জনপ্রিয় এই স্ট্রিট ফুডটি নিষিদ্ধ হবে কিনা।
ফুচকার স্বাদ বাড়ানোর জন্য ইউরিয়া এবং এমনকি হারপিকের মতো বিপজ্জনক পদার্থের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অন্যান্য রাজ্যে এরকম অভিযোগের পর, কর্ণাটকের খাদ্য সুরক্ষা এবং গুনমান বিচারের বিভাগ সতর্কতা বাড়িয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।