জ্যোতিষকাহন Diwali 2024 Lamp for Luck: দীপাবলিতে জ্বালান এই ধাতুর প্রদীপ, ঘরে উপচে পড়বে সুখ আর সমৃদ্ধি! বাজারেও চাহিদাও প্রচুর Gallery October 30, 2024 Bangla Digital Desk হাতে আর বেশি সময় নেই। সারা দেশ আলোর উৎসবে মেতে উঠবে। তবে এবার দীপাবলি উপলক্ষে উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরের সরস মার্কেটে তামার প্রদীপ জ্বালানোর বিশেষ আয়োজন চোখে পড়ছে। এগুলি শুধু উৎসবের সৌন্দর্যই বাড়াচ্ছে না, এখানকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও শিল্পের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পার্বত্য অঞ্চলে দীপাবলির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার সময় তামার প্রদীপের ব্যবহার শুভ বলে মনে করা হয় এবং তা ঐতিহ্যের সঙ্গেও জড়িত। এই ঐতিহ্যকে লালন করে বাগেশ্বরের মহিলারা তামার প্রদীপ তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন এবং তা থেকে বেশ ভাল আয়ও করছেন। তামার প্রদীপের গুরুত্ব: ঐতিহ্যগত ভাবে তামা এমন একটি ধাতু, যা শুভ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। দীপাবলিতে দেবী লক্ষ্মীর পূজায় এটি ব্যবহার করলে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে। বাগেশ্বর এবং আশপাশের অঞ্চলে দীপাবলিতে তামার প্রদীপ জ্বালানোর একটি পুরনো রীতি রয়েছে, যা স্থানীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই তামার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা সুখ এবং সমৃদ্ধির পরিচায়ক হিসাবেও বিবেচিত হয়। হ্যান্ডমেড তামার প্রদীপ: তামার প্রদীপ তৈরির শিল্প ও কারুকার্য রপ্ত করেছেন সরস মার্কেটের মহিলারা। গুড্ডি টামটার মতো মহিলা অন্ত্রেপ্রেনররা শুধু ঐতিহ্যগত ভাবে এটি তৈরি করেন না, নতুন ডিজাইন এবং আকারও ব্যবহার করছেন। নারীদের এই কাজ তাঁদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলছে। এছাড়া এটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের একটি উপায়ও বটে! এই কাজের মাধ্যমে মহিলারা নিজেদের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করছেন এবং ঐতিহ্যগত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন আকার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রদীপ: বাগেশ্বরের সরস মার্কেটে তিন ধরনের আকারের তামার প্রদীপ পাওয়া যায়। সবচেয়ে ছোট প্রদীপটির দাম মাত্র ৭৫ টাকা, মাঝারি আকারের তামার প্রদীপের দাম ১৫০ টাকা এবং বড় আকারের প্রদীপের দাম মাত্র ২৫০ টাকা। এই প্রদীপগুলির সৌন্দর্য এবং উজ্জ্বলতা বাজারে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ক্রেতারা এই প্রদীপগুলি খুব পছন্দ করছেন এবং পুজোর পাশাপাশি অনেকে ঘর সাজানোর জন্যও এই প্রদীপগুলি কিনছেন। তামার প্রদীপের জনপ্রিয়তা: তামার প্রদীপের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা থেকে এটি স্পষ্ট যে, মানুষ আধুনিকতার সঙ্গে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সংযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, তামার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়, যা সারা বছরের জন্য সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। আর এই দীপাবলিতে তামার প্রদীপগুলি কেবল বাগেশ্বরের বাজারের সৌন্দর্যই বাড়াচ্ছে না, এখানকার মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমও হয়ে উঠছে।