অক্টোবর মাস শেষ হয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নভেম্বর মাস। যদিও আবহাওয়ার দশা দেখে নভেম্বরকে চেনা দায়। অক্টোবরেও গরমে হাঁসফাঁস দশা বঙ্গবাসীর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ১২৩ বছর পর উষ্ণ ছিল এ বছরের অক্টোবর মাস।
শুক্রবার আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ভারতে ১৯০১ সালে অক্টোবর মাসটি সবচেয়ে উষ্ম ছিল। তারপর ২০২৪ সালে এত উষ্ণ অক্টোবর দেখল দেশবাসী।
অক্টোবর মাসে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে ১.২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অক্টোবরের এই তথ্য থেকে নভেম্বর মাসে তাপমাত্রার আঁচ করা যায়। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে আসন্ন শীতের কোনও লক্ষণ নেই।
ভারতীয় মৌসম বিভাগের মহানির্দেশক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আসতে দেরী হচ্ছে এবং বঙ্গোপসাগরের খাঁড়িতে সক্রিয়ে নিম্নচাপের কারণেই এত বেশি গরম অক্টোবর মাসেও।
মহাপাত্র আরও বলেন, অক্টোবরে গড় তাপমাত্রা ২৬.৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ১৯০১ সালের পর থেকে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল, যেখানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২১.৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে সারা দেশে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২০.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম সমভূমিতে তাপমাত্রা কমপক্ষে আগামী দুই সপ্তাহ স্বাভাবিকের থেকে ২-৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে, এরপর তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।
মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন যে, আবহাওয়া দফতর নভেম্বরকে শীতের মাস হিসাবে বিবেচনা করে না। তিনি বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিকে শীতের মাস হিসেবে গণ্য করা হয়, আর ডিসেম্বর মাসে ঠান্ডা আবহাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।
দক্ষিণ ভারতে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর কারণে, নভেম্বর মাসে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কারাইকানাল, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানাম, রায়ালসিমা, কেরালা এবং মাহে এবং কর্ণাটকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, “উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং মধ্য ভারতের কিছু এলাকা ছাড়া দেশের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে ক্রমাগত নিরপেক্ষ এল নিনোর অবস্থাও ঠান্ডা আবহাওয়ার সূত্রপাতকে বিলম্বিত করতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, ইএনএসও (এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন) পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে লা নিনা অবস্থা ধীরে ধীরে বাড়বে।
Post navigation
Just another WordPress site