#কলকাতা: লকডাউনে বাড়িতে কি করছেন সৌরভ? কী করে সময় কাটাচ্ছেন? পরিবারের কতটা গল্প আড্ডা হচ্ছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সানা গঙ্গোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট দেখলেই। সৌরভ-ডোনা মাঝে ‘সুগার’। ছবি পোস্ট সানার।
আসলে সানার প্রিয় পোষ্যটির নাম সুগার। বাবা-মা-র সঙ্গে সোফায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছে প্রিয় পোষ্যটি। মোবাইলে সেই মুহূর্ত বন্দি করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন সৌরভ কন্যা সানা। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গে মজা করেই সানা লিখেছেন পরিবারে বাবা-মায়ের মাঝের জায়গাটা আমার। তবে দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটি দখল হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে অবাক হওয়ার একটি ইমোজিও পোস্ট করেছেন। সেই দেখে সোশ্যাল মিডিয়াতে সানাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন সৌরভ। মহারাজ লিখেছেন, শুধু ৫ মিনিটের জন্য বসেছে সুগার। আসলে পুরো বিষয়টির মধ্যেই খুনসুটি ভরা। পুরোটাই মজার ছলে আলোচনা। মাঝেমধ্যেই বাবার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা করেন সানা। সৌরভও তার উত্তর দেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে পায়ের উপর পা তুলে সোফার এক প্রান্তে বসে রয়েছেন সৌরভ। অপর প্রান্তে গোলাপি সালোয়ারে সদাহাস্যময় মুখে বসে রয়েছে ডোনা। সৌরভ ও ডোনার মাঝেই কুকুরটি। ডোনার কোলে মাথা মজা করে আদর খেতে ব্যস্ত সানার প্রিয় পোষ্য সুগার। প্রিয় কুকুরটির নাম সানা নিজেই দিয়েছেন। এরমাঝেই লকডাউনে বাড়িতে বসে মায়ের কাছে রান্না শিখছেন সানা।
ছবিতে সৌরভকে অনেকটাই রিল্যাক্স মুডে পাওয়া যাচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে নিজেকে গৃহবন্দি রেখেছেন সৌরভ। বিসিসিআইয়ের যাবতীয় কাজ বাড়িতে বসেই করছেন। তার ফাঁকে একটু পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে নিচ্ছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বাড়িতে থাকলে সাধারণত সৌরভ পাঞ্জাবি-পায়জামা পড়তে অভ্যস্ত। বাঙালি পোশাকেই সৌরভকে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় বাড়ির অন্দরমহলে। ছবিতে যে জায়গায় সৌরভ,ডোনাকে বসে থাকতে গিয়েছে সেটিও মহারাজের খুব প্রিয়।
সৌরভ নিজে লকডাউনে গৃহবন্দি রয়েছেন। দিন দুয়েক অনুদানের চাল প্রদানের কর্মসূচি ছাড়া বাড়িতেই রয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। তবে করোনা যুদ্ধে প্রথম থেকেই কোমর বেঁধে লড়াই করছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন ঘরে থাকার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে নিজেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৫০ লক্ষ টাকার চাল অনুদান দিয়েছেন। লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়া দুস্থ ও গরিব মানুষদের দু’বেলা ভাতের জোগাড় করে দিয়েছেন সৌরভ। বেলুড় মঠ, ইসকন-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাল বন্টন করেছেন বাঙালির প্রিয় দাদা। ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রত্যেকদিন ১০ হাজার মানুষকে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন মহারাজ।
Eeron Roy Barman