#মুম্বই: লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সীমান্তে সংঘর্ষে কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে এখন চিনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে গোটা দেশই ৷ দেশের বহু জায়গাতেই চিনা পণ্য বর্জন করার জন্য বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনতা ৷ এই অবস্থায় নড়েচড়ে বসল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ৷ সীমান্তে বীর জওয়ানদের আত্মবলিদানের কথা মাথায় রেখে সবকিছু ফের খতিয়ে দেখা হবে জানিয়েছে তারা ৷
শুক্রবার রাতে নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে আইপিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , সীমান্তে বীর জওয়ানদের অসম সাহসী লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখে আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল একটি বৈঠক ডাকছে যেখানে আইপিএলের বিভিন্ন স্পনসরশিপের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ৷ ’
Taking note of the border skirmish that resulted in the martyrdom of our brave jawans, the IPL Governing Council has convened a meeting next week to review IPL’s various sponsorship deals ??
— IndianPremierLeague (@IPL) June 19, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠকে চিনের প্রতি অনমনীয় বার্তার ঠিক পরেই আইপিএল এই ট্যুইটটি করে । কিন্তু এর আগে পরিস্থিত এরকম ছিল না। চিনা স্মার্টফোন সংস্থাগুলির দিকে নজর সবচেয়ে বেশি ৷ ভারতের স্মার্টফোনের বাজারে এখনও চিনের সংস্থাগুলিরই রমরমা ৷ এমনকী, আইপিএলের টাইটেল স্পনসরও বেশ কয়েক বছর ধরে চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো ৷ এই অবস্থায় ভিভোর বদলি হিসেবে অন্য কোনও সংস্থাকে বিসিসিআই ভাবছে কী না, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছিল ৷ কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে শুক্রবার স্পষ্ট করা হয়েছিল যে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভোই থাকছে ৷ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড মনে করছে যে, চিনের সংস্থা থেকে আসা অর্থ চাঙ্গা করবে ভারতীয় অর্থনীতিকেই। ২০২২ পর্যন্ত ভিভোর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বিসিসিআইয়ের ৷ তাই তাড়াহুড়ো করে এখনই কোনও কিছু বদল বা ছেঁটে ফেলতে চাইছে না বিসিসিআই ৷
বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল বলেছেন, “আবেগ দিয়ে ভাবলে অনেক সময়ই যুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমাদের বুঝতে হবে যে, চিনের স্বার্থে চিনের সংস্থাকে সাহায্য করা আর ভারতের স্বার্থে চিনের অর্থনীতির সাহায্য নেওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে।”
আসলে ভিভোর সঙ্গে প্রতি বছরের চুক্তি ছিল বাৎসরিক ৪৪৪ কোটি টাকার । আর এই চুক্তি ২০২২ অবধি রয়েছিল ৷ তবে এটা ছাড়াও আইপিএলে-র আলাদা আলাদা ফ্রাঞ্চাইজিদেরও নিজস্ব স্পনসর আছে ৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটা এখন অনেকটাই আলাদা ৷ গালওয়ানে চিনের আক্রমণ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি দেশ ৷ এই বার্তাটাই এই মুহূর্তে সব মহল থেকে দিতে চাইছে ভারত ৷