Ind vs Aus: দুই তরুণের জোড়া অর্ধশতরান, গাব্বায় সপ্তম উইকেটে নজির শার্দুল-সুন্দরের

#ব্রিসবেন:  কুর্নিশ শার্দুল , কুর্নিশ ওয়াশিংটন – গাব্বায় দুই তরুণকে কুর্নিশ করল ক্রিকেট দুনিয়া৷ বাঘা বাঘা অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামলালেন অস্ট্রেলিয়ার পেস সহায়ক পিচে৷ আর কখন সামলালেন যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৩৬৯ তাড়া করতে নেমে ভারতের স্কোর ৬ উইকেটে ১৮৬৷ সেই সময় সদ্য টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া দুই তরুণ৷

এদিন গাব্বায় দুই তরুণের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ফসল দুজনের নামের পাশেই অর্ধশতরান৷ শার্দুল এদিন ছক্কা মেরে অর্ধশতরানে পৌঁছন৷ আর অভিষেক টেস্টে এর চেয়ে স্বপ্নের পারফরম্যান্স কী হতে পারে, যা করে দেখালেন ওয়াশিংটন সুন্দর৷ তাঁর ব্যাটেও এল অর্ধশতরান৷

দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির কারণে শেষবেলার খেলা জমিয়ে হতে পারেনি৷ ২ উইকেটে ৬২ রান এই অবস্থায় তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে টিম ইন্ডিয়া৷ ক্রিজে ছিলেন তৃতীয় টেস্টে ইনিংস বাঁচানো পারফরম্যান্স দেওয়া চেতেশ্বর পূজারা ও এবারের টেস্ট সিরিজে শতরানকারী অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে৷

কিন্তু ৯৪ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান পূজারা৷ হেজেলউডের বলে পেইনের হাতে বন্দি হন তিনি৷ এদিকে দলের ১৪৪ রানে আউট হয়ে প্যাভালিয়নের রাস্তা ধরেন অধিনায়ক রাহানে৷ স্টার্কের বলে ওয়েডের হাতে আউট হন তিনি৷ ক্রিজে এরপর দায়িত্ব সামলাতে নামেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও ঋষভ পন্থ৷ দুই তরুণই খুব একটা মন্দ খেলছিলেন না৷ কিন্তু হেজেলউডের পেস অস্ত্রেই কাহিল হন এই দুই ক্রিকেটার৷ ময়ঙ্কের অবদান ৩৮৷ তাঁর ক্যাচ নেন স্মিথ ৷ অন্যদিকে ঝকঝকে সাবলীলতায় ব্যাট করা ঋষভ পন্থ একটি শর্ট বলে আউট হন ৷ অসাধারণ একটি ক্যাচ নেন ক্যামেরন গ্রিন৷

তাবড় ক্রিকেটাররা ফিরে গেছেন এই অবস্থায় দলের রান দাঁড়িয়েছিল ১৮৬৷ সেখান থেকে সপ্তম উইকটে ক্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার৷ একদিকে ওয়াশিংটন সুন্দর অন্যদিকে শার্দুল ঠাকুর৷ কটা বল সামলাতে পারবেন সদ্য অভিষেক হওয়া ক্রিকেটাররা এই নিয়ে যখন অঙ্ক কষতে ব্যস্ত তখন নিজেদের সাবলীল ক্রিকেট খেললেন ভারতের এই তরুণ দুই বোলার৷

এমনকি সপ্তম উইকেটে ১৯৯১ সালে কপিলদেব ও প্রভাকরের জুটির সবচেয়ে বেশি রানের পার্টনারশিপকেও টপকালেন এই দুই ক্রিকেটার৷

এদিকে এর আগে ব্রিসবেন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ তুলল অস্ট্রেলিয়া৷ দ্বিতীয় দিন ৫ উইকেটে ২৭৪ নিয়ে খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া৷ ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান গ্রিন এবং অধিনায়ক পেইন বড় ইনিংস না খেলতে পারলেও শেষ দিকে ন্যাথান লিয়ঁ এবং মিচেল স্টার্কের ব্যাটে ভর করেই সাড়ে তিনশো পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া৷ ভারতের হয়ে নটরাজন, শার্দুল ঠাকুর এবং ওয়াশিংটন সুন্দর তিনটি করে উইকেট নেন৷

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য খুব ভাল হয়নি ভারতের৷ দ্রুত ফিরে যান তরুণ ওপেনার শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা৷ গাব্বার উইকেট বরাবরই পেসারদের সাহায্য করে৷ ফলে স্টার্ক- কামিন্সদের সামলে প্রথম ইনিংসে তাবড় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঢেকে দিল তরুণদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা৷

সিডনিতে হারা ম্যাচ বাঁচানোর পর ব্রিসবেনে আত্মবিশ্বাসী হয়েই ব্যাট করা উচিত অজিঙ্ক রাহানে, রোহিত শর্মাদের৷ যদিও সিডনির ব্যাট হাতে দুই নায়ক হনুমা বিহারী এবং আর অশ্বিনই চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন৷ ফলে সিরিজ ফয়সালার ম্যাচে অনেক বেশি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে অভিজ্ঞ রাহানে, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারাদের৷ প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া বড় রানের লিড নিলে ফের সিডনির মতোই ম্যাচ বাঁচানোর জন্য লড়তে হবে ভারতীয়দের৷