Virat Kohli: এ যে একেবারে ‘মানি হাইস্ট’-এর প্রফেসর! বিরাটের নতুন ‘কোয়ারেন্টাইন লুক’ দেখে উত্তেজিত নেটিজেন

#নয়াদিল্লি: খেলোয়াড় হিসেবে যে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভক্তের সংখ্য়া অগুন্তি তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু মাঠের বাইরেও তিনি একজন বিশেষ আইকন। বিশেষ করে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্টের সাহায্যেও ভক্তদের প্রভাবিত করতে সক্ষম বিরাট। সম্প্রতি তাঁর ‘কোয়ারেন্টাইন লুকে’ মজেছেন ভক্তরা। সেই নতুন লুকের বিরাটের ছবি ভাইরালও হয়েছে মুহূর্তে। বিরাটের এই নতুন লুকের সঙ্গে অনেকেই মিল খুঁজে পেয়েছেন, ওয়েব সিরিজ মানি হাইস্ট-এর প্রফেসরের (Money Heist Professor)।

কোয়ারেন্টাইনে অনেকেই নিজেদের লুক নিয়ে কাটাছেড়া করেছেন। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাড়িয়ে ফেলেছেন চুলের দৈর্ঘ্য। দাড়িও রেখেছেন ক্রিকেট তারকা। আর সঙ্গে একটি মোটা ফ্রেমের কালো চশমা। বিরাটের নতুন অবতার কি আর ভক্তদের চোখ এড়ায়! আর বিরাটের এই ছবি দেখে মুগ্ধও হয়েছেন তাঁরা। জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ চরিত্র প্রফেসরের মিলও খুঁজে পেয়েছেন ভক্তরা।

এক নেটিজেন ছবিটি টুইট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “ট্রফি হাইস্ট সিরিজ থেকে এটাই প্রফেসরের লুক। রিলিজ করছে ১৮ জুন।” আর একজন লিখেছেন “মানি হাইস্ট-এর ভারতে তৈরি হলে বিরাট কোহলিই প্রফেসর হতে প্রস্তুত।” তবে এই ছবি নিয়ে টুইটারে অনেকেই মজার মজার মিমও শেয়ার করেছেন।

‌একজন লিখেছেন, “বিরাট কোহলিকে ঠিক সেই ইঞ্জিনিয়ারের মতো দেখতে লাগছে যে গিটার বাজিয়ে মহিলাদের মুগ্ধ করে। যার প্রতিটি সিগারেটের দোকানে রানিং অ্যাকাউন্ট থাকে এবং বাড়ির বাইরেও বক্সার পরে বেরোয়।” অনেকে আবার অভিনেতা ববি দেওলের সঙ্গেও বিরাটের এই লুকের মিল খুঁজে পেয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “ববি দেওল লাইট।”

তবে ভক্তরা বিরাটের এই ছবি নিয়ে মাতামাতি করলেও, এই ছবি আসলে পুরোটাই ফোটোশপে এডিট করা। বিরাট নিজে চুলও বাড়াননি, দাড়িও রাখেননি। কিন্তু এই লুক যদি বিরাট কখনও ট্রাই করেন, তা হলে তা যে খুব একটা খারাপ হবে না, তা ভক্তদের প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, বিরাট ও অনুষ্কা একসঙ্গে করোনা ত্রাণ তৈরি করেছেন একটি। তাঁরা নিজেরাও সেই ত্রাণে ২ কোটি টাকা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রফেসর চরিত্রটি গত বছর লকডাউনে ভারতীয়দের মধ্যে জনপ্রিয় হয়। এটি একটি স্প্যানিশ ওয়েব সিরিজ, যার নাম লা কাসা দে পাপেল (la casa de papel)। ইংরেজিতে ডাব করার পরে এর নাম হয় মানি হাইস্ট (Money Heist)। এখানে প্রফেসরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্প্যানিশ অভিনেতা আলভারো মোরটে (Alvaro Morte)।