Pratima Bhowmik| মন্ত্রী হলেন ত্রিপুরার ‘দিদি’ প্রতিমা, চোখে জল বাঁধ মানছে না মায়ের…

#আগরতলা: চার জন নয় আসলে বাঙালি পেয়েছে পাঁছ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হ্যাঁ বাংলা থেকে নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুররা যেমন মন্ত্রী হয়েছেন তেমন ত্রিপুরা থেকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক । ৭৪ বছরে প্রথম বার ত্রিপুরার বাসিন্দা হিসেবে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরাবাসী গর্বিত প্রতিমাকে নিয়ে। চোখের জল প্রতিমার মা কানন ভৌমিকের। মেয়ের ছবি হাতে গর্বিত  মায়ের ছবি জেটগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ত্রিপুরার মানুষের মুখে দিদি নামে পরিচিত প্রতিমার জন্ম পশ্চিম ত্রিপুরার অখ্যাত বড়নারায়ণপুরে। গত তিন দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে আরএসএসের নানা দায়িত্ব পালন করে এসেছেন কৃষক পরিবারের সন্তান প্রতিমা। তারই পুরস্কার এই মন্ত্রিত্ব। বিজেপি মন্ত্রিসভা রদবদলে এবার গুরুত্ব দিয়েছিল নিপীড়িত শোষিত আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি তুলে আনার দিকে। জোর দেওয়া হয়েছিল মহিলা প্রতিনিধি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও। সেই কারণেই এবার ঠাঁই পেয়েছেন প্রতিমা।

বাংলায় ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি চাইছে আগেভাগেই ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে।  সেই কারণেই ভোট আসন্ন এমন রাজ্যগুলি থেকে বুঝেশুনে প্রতিনিধি বাছাই করছে বিজেপি। জোর দেওয়া হচ্ছে তারুণ্যে এবং প্রান্তিক সমাজের প্রতিনিধিত্বে। গেরুয়া শিবিরের ধারণা এই প্রতিনিধিত্বের ফলে আদিবাসী জনজাতি ভোট ধরতে সুবিধা হবে।

ত্রিপুরার প্রথম মহিলা সাংসদ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন প্রতিমা। এর আগে আরও দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেয়েছে ত্রিপুরাবাসী। ত্রিগুণা সেন এবং সন্তোষমোহন দেবের স্মৃতি আজও উজ্জ্বল ত্রিপুরাবাসীর মনে। কিন্তু শিলচরের বাসিন্দা ছিলেন সন্তোষমোহন। আর ত্রিগুণা সেন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের লোক। ত্রিপুরা থেকে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। কাজেই এভাবে দেখলে প্রথম বারের জন্য ত্রিপুরার ভূমিকন্যা মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরাবাসীর মনে আজ খুশির হাওয়া।