#কলকাতা: শেষমেশ তৃণমূলেই যোগ দিলেন সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী নেত্রী সুস্মিতা দেব। শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ এদিনই কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন সনিয়া গান্ধির কাছে। এরপরই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সুস্মিতা। গন্তব্য ছিল কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। সেখানে অভিষেক-সুস্মিতার দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক হয়। সেখানেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন বলে খবর। সেখান থেকে দুজনেই যান নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সূত্রের খবর, সেখানে মমতার আশীর্বাদ নিয়ে এখন থেকেই তৃণমূলের হয়ে কাজ শুরু করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সুস্মিতা। তৃণমূলের ট্যুইটারে হ্যান্ডেল থেকে সুস্মিতাকে স্বাগত জানানো হলে তিনি সেটি রিট্যুইট করে লেখেন, ‘আমি যা পেয়েছি, তার সবটুকু দিয়ে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। খেলা হবে।’ আগামীকাল দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন সুস্মিতা।
অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদের কংগ্রেস ছাড়ার খবর এদিন সকালেই ছড়িয়ে পড়ে। শোরগোল পড়ে জাতীয় রাজনীতিতে। জল্পনা শুরু হয়, তবে কি এ বার তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি? সেই জল্পনা উসকে দুপুরের আগেই কলকাতায় চলে আসেন কংগ্রেসের মহিলা শাখার জাতীয় সভানেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক পূর্বপরিকল্পিতই ছিল। দেড় ঘণ্টার বৈঠকেই ঠিক হয়ে যায় যাত্রাপথ।
Will give it all I have got…. @MamataOfficial thank you??#KhelaHobe https://t.co/aa0ijNrhOk
— Sushmita Dev (@sushmitadevinc) August 16, 2021
সিএএ বিরোধী আন্দোলনের মুখ অখিল গগৈকেও দলে এনে অসমে সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। তবে অখিলের তৃণমূলে যোগদান এখনও দিনের আলো দেখেনি। তবে সুস্মিতা দেবের সেই দেরিটুকুও হল না। কিন্তু কেন সুস্মিতাকে দলে টানল রাজ্যের শাসক দল? রাজনৈতিক মহল বলছে, সুস্মিতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জ্ঞান। ত্রিশ বছরের বেশি তিনি কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সংগঠনের শীর্ষে থেকেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাছাড়াও সন্তোষ দেবের কন্যা হিসেবেও দেশের রাজনীতিতে সুস্মিতার একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। ত
এছাড়া তিনি হলেন শক্তিশালী মহিলা মুখ। মহিলা মুখ হিসেবেই অসমে সুস্মিতা দেবই হতে পারেন তৃণমূলের ট্রাম্প কার্ড। ত্রিপুরাতেও প্রভাব রয়েছে সুস্মিতার। ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করা তৃণমূল এবার বিপ্লব দেবের রাজ্যেও শক্তিশালী মহিলা মুখ হিসেবে সুস্মিতাকে তুলে ধরবে শাসক দল। এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগানে ভর করে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে অসমেও একজন মহিলাকে সামনে রেখে এগোলে ডিভিডেন্ট মিলতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।