#আবুধাবি: ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। প্রথম উইকেট ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তিনি পাঁচটি শতরান সহ ২৯১৪ রান করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ১৯৫। দীর্ঘদিন বাদে ইংলিশ ক্রিকেটে একজন যোগ্য অলরাউন্ডার পাওয়া গিয়েছিল। মইন আলি আজ টেস্ট ক্রিকেটকে আলবিদা বললেন। আগামী অক্টোবরে শুরু হতে চলা টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ইংল্যান্ড দলে রয়েছেন মইন আলি। তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠিত হতে চলা আগামী অ্যাশেজ সিরিজের জন্যও জাতীয় দলে রাখতে আগ্রহী ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। তার আগেই তিনি টেস্ট ফর্ম্যাটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন – Imran motivates Pak Team : বিশ্বকাপের আগে বাবরদের বিশেষ টিপস ইমরানের
ইংল্যান্ডের অল রাউন্ডার সোমবার বিকেলেই এই ঘোষণা করেছেন। যা শুনে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ফ্যানরা। আগামী অক্টোবরেই টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি শুরু করবে। এরপর ঠাঁসা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচিতে রয়েছে একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। যার অন্যতম ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলা ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ। তবে তার আগেই ব্রিটিশ শিবিরকে ধাক্কা দিল এই দুঃসংবাদ। অ্যাশেজে মইনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারত ইংল্যান্ড।
Moeen Ali retires as one of just 13 players to score 5+ centuries and take 5+ five-wicket hauls in Tests ? pic.twitter.com/KFmaMRMdj2
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) September 27, 2021
রবিবারও কেকেআরের বিরুদ্ধে তাঁকে মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছে। আমিরশাহীতেই অনুষ্ঠিত হবে টি২০ বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডের হয়ে সেই প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেবেন মইন। সূত্রের খবর, এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ খেলতে যেতে চাইছেন না এই অল রাউন্ডার। এত দীর্ঘ সময় পরিবারের থেকে দূরে থাকা তাঁর পছন্দ নয় বলে শোনা যাচ্ছে। মইন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক জো রুট এবং হেড কোচ ক্রিস সিলভারউডের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে শোনা গিয়েছে। তাঁরা দলের অল রাউন্ডারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন বলে খবর।
টেস্ট ফর্ম্যাট ছাড়লেও ইংল্যান্ডের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়মিতভাবে খেলতে দেখা যাবে মইন আলিকে। তিনি কাউন্টি ও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেট খেলবেন বলেও জানানো হয়েছে। আলি জানিয়েছেন মুসলিম ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ড দলে তিনি সুযোগ পেতে পারেন এই বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাকে দেখে।
আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে মুসলিম ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন মইন। তিনি জানিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে সম্প্রতি পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের সময়ই মনে হয়েছিল এবার টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সময় হয়েছে।