India vs Namibia first innings : নিয়ম রক্ষার ম্যাচে অশ্বিন, জাদেজার দাপটে ১৩২ রানে শেষ নামিবিয়া

নামিবিয়া – ১৩২/৮

#দুবাই: এত গুরুত্বহীন ম্যাচ শেষ কবে খেলেছিল ভারত, মনে পড়া মুশকিল। সোমবারে দেশে ফেরার টিকিট কাটার আগেই হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দলের। ভবিতব্য জেনেই নামিবিয়া নামের দুধের শিশুর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ভারত।সেমি-ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন খানখান। সোমবারের নামিবিয়া ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার। গ্রুপের একটি খেলা বাকি থাকতেই ছিটকে গেল ফেভারিটের তকমাধারী ভারত। রবিবার বিকেলে নিউজিল্যান্ডের কাছে আফগানিস্তান হারতেই টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিং রুমে নেমে আসে নিকষ অন্ধকার!

এক রবিবারে পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত। পরের রবিবারে নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার হার। আর এক রবিবার বেজে গেল কোহলিদের বিদায় ঘণ্টা। শেষ চারে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে দরকার ছিল নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচে মস্ত বড় অঘটন। হোম, যজ্ঞ, প্রার্থনায়ও পূর্ণ হল না ১৩০ কোটি ভারতবাসীর মনস্কামনা। আবুধাবির বাইশ গজে দাপটের সঙ্গেই জয় পেয়েছেন উইলিয়ামসনরা। চুপসে গিয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের আকাশকুসুম কল্পনার ফানুস।

হতাশা ও বেদনার সেই ছবি ফুটে উঠল ভারতীয় শিবিরেও। সন্ধ্যা সাতটায় আইসিসি’র ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল কোহলি-রোহিতদের। কিন্তু, কাপযুদ্ধ থেকে ছিটকে যাওয়ার হাহাকার এতটাই যে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হল। লক্ষ্যই যখন বালিয়াড়ির দেশে হারিয়ে গিয়েছে, তখন আর কীসের নেট! কেনই বা ঘাম ঝরানো! তাতে অবশ্য নামিবিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম এগারো নিয়ে চর্চায় ভাটা পড়েনি। টস জিতলেন বিরাট কোহলি। বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

টস ভাগ্য ভারত অধিনায়কের সহায়ক হতে শুরু করল যখন, তখন সব শেষ। ভারতীয় সর্মথকরা বিদ্যুৎ খরচা করে এই ম্যাচ দেখেছেন কিনা সন্দেহ থাকবে। দুর্বল নামিবিয়ার বিরুদ্ধে প্রত্যাশা মতো প্রথম থেকেই চেপে বসল বুমরাহ, অশ্বিন, রাহুল চাহার, জাদেজা সমৃদ্ধ বোলিং লাইন আপ। ভ্যান লিনজেন ( ১৪) ফিরে গেলেন বুমরাহর বলে। স্টিফেন বার্ড ( ২১) এলবিডব্লিউ হলেন জাদেজার বলে।

উইলিয়ামস খাতা খুলতে না পেরে ফিরে গেলেন জাদেজার বলে। ইরাসমাস এবং ইটনকে ফিরিয়ে দিলেন অশ্বিন। অভিজ্ঞ ডেভিড ভিসা চেষ্টা করলেন কিছুটা রান বাড়ানোর। কিন্তু স্মিটকে ফিরিয়ে দিয়ে আবার নামিবিয়া শিবিরে আঘাত হানলেন জাদেজা। অসাধারণ ক্যাচ নিলেন রোহিত শর্মা। গ্রিন খাতা খুলতে না পেরে বোল্ড হয়ে গেলেন অশ্বিনের বলে।ভিসা ২৬ করে ফিরে গেলেন বুমরাহর বলে। তিনি দলের সর্বোচ্চ স্কোরার।