Qatar World Cup: ফুটবলে সেন্সর, বিশ্বকাপে অফসাইড ধরতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হবে কাতারে

#দোহা: ফিফা সভাপতি ইনফ্যান্টিনো কথা দিয়েছিলেন এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে বিতর্ক চান না তিনি। অতীতে বহুবার বিভিন্ন দল প্রতিবাদ করেছে অফসাইডের কারণে। এটা ফুটবলে এমন একটা সিদ্ধান্ত, যা নিয়ে যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি নতুন কিছু নয়। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ইতিহাস গড়তে চলেছে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ।

ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ হিসেবে কাতারে অফসাইড ধরতে ব্যবহৃত হবে নতুন প্রযুক্তি। এ ‘সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি’তে বিশ্বকাপের বল ‘আল রিহলা’তেও লাগানো থাকবে সেন্সর। শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অফসাইডের জন্য ব্যবহার হতে যাওয়া এ প্রযুক্তির বিস্তারিত জানিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

গত বছর ক্লাব বিশ্বকাপ ও ফিফা আরব কাপে সফল ব্যবহারের পর এবার বিশ্বকাপেও এটি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের ছাদে বসানো থাকবে ১২টি অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং ক্যামেরা। যেগুলো একেকজন খেলোয়াড়ের ২৯টি ভিন্ন ও নিখুঁত তথ্য সেকেন্ডে ৫০ বার করে পাঠিয়ে দেবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কাছে।

যা তিনি মাঠের রেফারিকে জানানোর মাধ্যমে অল্প সময়েই অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। সিদ্ধান্ত নিখুঁত করতে বিশ্বকাপের বল আহ রিহলায় থাকবে আরেকটি ইনারশিয়াল মেজারমেন্ট ইউনিট সেন্সর। যা প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার করে তথ্য পাঠাবে ভিএআর কক্ষে।

সব তথ্য একত্রিত করে অফসাইডের সিদ্ধান্ত জানাতে সময় লাগবে মাত্র ২৫ সেকেন্ড। যা আগে লাগতো গড়ে ৭৫ সেকেন্ড করে।এছাড়া দর্শকদের আরও জীবন্ত অভিজ্ঞতা দিতে মাঠে থাকা থ্রিডি অ্যানিমেশন জায়ান্ট স্ক্রিনেও দেখানো হবে প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়া অফসাইডের সিদ্ধান্তের পুরো অবস্থা।