Virat Kohli : চারদিকে ঘন অন্ধকার মনে হত! মানসিকভাবে চরম খারাপ সময়ের কথা কোহলির মুখে

#মুম্বই: তার মতো মনের জোর বিশ্ব ক্রিকেটে খুব কম লোকের আছে। কিন্তু দিনের শেষে তিনিও মানুষ। রক্ত মাংসের শরীরে একটা সময় হতাশা চেপে বসেছিল বিরাট কোহলির। কিছুই যেন ভাল লাগত না। চারদিকে ঝলমল করছে আলো। কিন্তু ঠিক মাঝখানটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। তুমুল সফল ক্রিকেটারদের জীবনেরও সেই অন্ধকার মুহূর্তটা অনেকে এড়িয়ে যান।

তবে সেই অন্ধকার মুহূর্তটা অবহেলা করলে বিষয়টি মারাত্মক হতে পারে। সবকিছু ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও আছে। তাই কোনওভাবে মানসিক দিকটা অবহেলা না করার পরামর্শ দিলেন বিরাট কোহলি। একটি সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিশ্বের ক্রীড়া জগতের অন্যতম ব্র্যান্ড বিরাট বলেন, ভবিষ্যতের অ্যাথলিটদের আমি টিপস দিতে যাই।

হ্যাঁ, ভাল অ্যাথলিট হওয়ার ক্ষেত্রে ফিটনেস এবং ফিট হয়ে ওঠার দিকে নজর দিতে হবে। তবে একইসময় নিজের ভিতরের মানুষটার সঙ্গেও লাগাতার যোগাযোগ রেখে যেতে হবে। বিরাটের সেই অনুভূতিটা একেবারে নিজের মধ্যে থেকেই এসেছে। কিং কোহলির কথায়, ব্যক্তিগতভাবে আমি এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি।

যখন ঘর ভরতি মানুষের মধ্যে নিজেকে একা মনে হত। যে মানুষরা আমার হয়ে গলা ফাটান এবং ভালোবাসেন, (তাঁদের মধ্যে থেকেও এরকম মনে হত)। আমি নিশ্চিত যে অনেকেই এই বিষয়ে মিল খুঁজে পাবেন। তাই নিজের জন্য সময় বের কর এবং নিজের ভিতরের মানুষটার সঙ্গে ফের সংযোগ গড়ে তোল। তুমি যদি সেই সংযোগটা হারিয়ে ফেল, তাহলে তোমার আশপাশের জিনিসপত্র ভেঙে পড়তে বেশি সময় লাগবে না।

কবে সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা অবশ্য জানাননি ৩৩ বছরের মহাতারকা। যিনি ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে একাধিক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন। পেশাদারি অ্যাথলিট হওয়ার চাপ সামলেছেন। সেই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিরাট বলেছেন, কীভাবে আপনি নিজের সময়টা ভাগ করে নেবেন, তা আপনাকে ঠিক করতে হবে, যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে। জীবনের অন্য বিষয়ের মতোও এটার জন্য অনুশীলনের প্রয়োজন আছে।