#কলকাতা: আজ জন্মদিন কলকাতা তথা ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তর। শিল্পী ফুটবলারের ৭১ তম জন্মদিনে তাকে স্মরণ করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিখ্যাত ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার সুরজিৎ সেনগুপ্ত দুই প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে খেলেছেন। খেলেছেন মহামেডানেও। ১৯৭৮–৭৯ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল অতুলনীয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মানে ভূষিত করে।
চুঁচুড়ায় জন্ম সুরজিতের। হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে ফুটবল থেকে উঠে আসা তার। অশ্বিনী বরাট ছিলেন তার কোচ। তিনিই কলকাতায় পাঠিয়েছিলেন সুরজিৎকে। কলকাতা লিগের লোয়ার ডিভিশন ক্লাব রবার্ট হাডসন প্রথম সই করেন। ১৯৭০ সালে সেখান থেকে খিদিরপুরে যান এই উইঙ্গার। ওই বছর খিদিরপুর ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে চলে যান স্বপন সেনগুপ্ত। তার বদলে সুরজিৎকে নেওয়া হয়।
Remembering our Club legend and former captain Surajit Sengupta on his 71st birth anniversary. ??
কিংবদন্তি সুরজিৎ সেনগুপ্তকে তাঁর ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের শত কোটি প্রণাম। ?#JoyEastBengal #JoySurajitSengupta #EmamiEastBengal pic.twitter.com/ryL7k6HFU0
— Emami East Bengal (@eg_eastbengal) August 30, 2022
কোচ অচ্যুত্ ব্যানার্জির কোচিংই তাকে পাল্টে দিয়েছিল। ১৯৭১ পর্যন্ত খিদিরপুরেই খেলেন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে মোহনবাগানে নাম লেখান। দুটো মৌসুম খেলেছিলেন সবুজ-মেরুন জার্সিতে। সেখান থেকে ১৯৭৪ সালে পা দেন ইস্টবেঙ্গলে। আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। ইস্টবেঙ্গল থেকেই সাফল্যের শিখরে উঠে পড়েন।
বাংলার হয়ে একাধিক সন্তোষ ট্রফি জয় এর পেছনেও তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ১৯৮০ সাল সুরজিৎ সেনগুপ্তের ক্যারিয়ারে তো বটেই, কলকাতার ফুটবলেও এক যুগান্তকারী সময়। সুরজিতের নেতৃত্বে একঝাঁক ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ছেড়ে কলকাতা মহমেডানে সই করেন।
শুধু বিপ্লব করাই নয়, সুরজিৎরা ওই বছর মহমেডানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন। ফুটবল যেমন নেশা ছিল, পড়াশোনাতেও তেমনই ভাল ছিলেন সুরজিৎ। ফিজিক্স অনার্স নিয়ে লেখাপড়া তার। শুধু তা-ই নয়, গানবাজনার প্রতিও একই রকম ঝোঁক ছিল। ছেলেবেলায় একবার বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে তবলা বাজিয়েছিলেন। বন্ধুমহলে গানের জন্য বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।