#ঢাকা: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে একদিন আগেই ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। নেপালের মাঠে নেপালকেই ৩-১ বিধ্বস্ত করে। ভারতের একাধিপত্য ভেঙেছে তারা। তাই লাল সবুজের দেশে এ যেন এক নতুন ইতিহাস তৈরির দিন। যার হাত ধরে সম্ভব হয়েছে তার নাম গোলাম রাব্বানী ছোটন।
তিনি যেন শাহরুখ খানের সিনেমা চক দে ইন্ডিয়ার কবির খান। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কাজি সালাউদ্দিন মেয়েদের ফুটবল নিয়ে এই স্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছিলেন। যদি আমরা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দিতে পারি এবং মহিলা ফুটবলারদের এক সুতোয় বাঁধতে পারি, তাহলে জানতাম যে সাফল্য একদিন না একদিন আসবেই। আর আজ সেটা এসেছে।
দেশের ১৮ কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ফুটবলারদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন। এটা সত্যিই খুব ভালো লাগছে। কথাগুলো বলার সময় আবেগে গলা বন্ধ হয়ে আছে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের। আসলে কেউ বিশ্বাস করেনি বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল এমন কীর্তি তৈরি করতে পারে।
Massive CONGRATULATIONS to the Bangladesh Women’s Football Team for winning their first SAFF Football Cup!
??⚽?❤️ pic.twitter.com/A0qiPnPVcI— Shwe Sayfahyot (@SSayfahyot) September 19, 2022
বলা যায় প্রচলিত বিশ্বাস এবং ধারণার বিরুদ্ধে গিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন তারা। মেয়েরাও পারে দেশকে গর্বিত করতে এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কি হতে পারে? একটা সময় ছিল যখন সকলেই তাঁকে ‘মেয়েদের কোচ’ বলে হাসাহাসিই করত। কারণ বাংলাদেশে অন্তত মহিলাদের ফুটবলকে সেই অর্থে উঁচু চোখে দেখা হত না।
আর সেকারণেই এতদিন ধরে গোলাম রব্বানি ছোটন যাবতীয় অপমান মুখ বন্ধ করে সহ্য করে এসেছেন। অবশেষে যাবতীয় সমালোচনার যোগ্য জবাব তিনি দিলেন। আজ তিনি চ্যাম্পিয়ন কোচ। তবে ছোটন কিন্তু মাটিতেই পা রেখেছেন। তিনি মনে করেন এটা সবে শুরু। মেয়েদের ফুটবলের উন্নতি করতে গেলে এখনও অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হবে বাংলাদেশকে।
নিজের জন্য প্রশংসা দরকার নেই ছোটনের। মেয়েরাই তার হয়ে জবাব দিয়ে দিয়েছেন। সত্যি ছোটন আর কবির খান যেন এক হয়ে গেলেন এই চ্যাম্পিয়নশিপের পর।