হারের হ্যাটট্রিক নয়, নর্থ ইস্টকে হারিয়ে প্রথম তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল

#কলকাতা: কলকাতা ডার্বির আগে আইএসএলে শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। মানসিকভাবে এই ম্যাচের ফলাফল কলকাতা ডার্বিতে প্রভাব ফেলবে কিনা সেটা পরের বিষয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ম্যাচটা জিততে মরিয়া লাল হলুদ। মরশুমের শুরুতেই দু’টি ম্যাচে হার। ইনভেস্টর বদলেও ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার চালচিত্র সেই একইরকম।

আরও পড়ুন – বিশ্বকাপে ভারতের সম্ভাবনা কতটা? কপিলের উত্তর শুনলে পুরো চমকে যাবেন

কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের স্পর্শে ঘুরে দাঁড়াবে প্রিয় দল, এমন আশা অনেকেই করেছিলেন। কিন্তু আপাতত ফুটবলারদের পারফরম্যান্স সেই ফানুস চুপসে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়তে নারাজ লাল-হলুদ জনতা। দুঃসময়ে প্রিয় দলের পাশে দাঁড়ানোর কর্তব্যবোধই তাঁদের মূলধন। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল।

বুধবার সকালে অনুশীলন করেই দুপুরে রওনা দেয় টিম। সাতসকালে ফুটবলারদের জন্য প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের বাইরে অপেক্ষায় ছিল একঝাঁক খুদে সমর্থক। ক্লেটন সিলভা-অ্যালেক্স লিমারা বাস থেকে নামতেই তাদের দিকে ভেসে আসে একটাই আর্জি, নর্থইস্টের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। গত সপ্তাহেই জন্মদিন পালন করা জর্ডন ও’ডোহার্তিকে জড়িয়ে ধরে খুদে অনুরাগীরা।

উষ্ণ ভালোবাসায় আপ্লুত ফুটবলাররাও। পাহাড়ি দলকে হারিয়ে শহরের ফেরার প্রতিশ্রুতিও শোনা গেল তাঁদের মুখে। ইস্টবেঙ্গল ও নর্থইস্ট, দুই দলই এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে ব্যর্থ। তবে গত দু’টি মরশুমের সাক্ষাৎকারের ফলের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে উত্তর-পূর্বের দলটি। চারবারের লড়াইয়ে তিনবার জিতেছে তারা। অপর ম্যাচটি ড্র।

লড়াইটা যে সহজ হবে না, তা ভালোভাবেই জানেন লাল-হলুদের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। প্রথম দু’টি ম্যাচেই শেষ মুহূর্তের গোলে বশ মেনেছে দল। এবার সেই রোগ সারাতে মরিয়া তিনি। এর জন্য ছেলেদের থেকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল আশা করছেন স্টিফেন।

তিনি জানান, গত দু’ম্যাচে যদি দল সত্যিই খারাপ খেলত, তা হলে চিন্তিত হতাম। কিন্তু আমরা দুই ম্যাচেই কিছু সময় ভালো খেলেছি। আগামী ম্যাচে পুরো সময় এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে। আমি সবসময় আক্রমণাত্মক ফুটবল পছন্দ করি। বিশেষত গোয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা যে ফুটবলটা খেলেছে, সেটা খেলতে পারলে জয় আসবেই।

নর্থ ইস্ট বেঙ্গালুরু এবং হায়দারাবাদের কাছে হেরেছে। আজ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে মরিয়া থাকবে হাইল্যান্ডার বাহিনী।