বিশ্বকাপের সেরা ফরওয়ার্ড লাইন কিন্তু ফ্রান্সের ! বাকিদের সাবধান করে দিলেন জিদান

#প্যারিস: ফুটবল বিশ্বকাপে তার কীর্তি ভোলা সম্ভব নয় ফুটবলপ্রেমীদের। রোনাল্ডো, কার্লোসদের ব্রাজিলকে হারিয়ে ফ্রান্সের প্রথম বিশ্ব জয়ের নায়ক ছিলেন জিনেদিন জিদান। জিদানের মতো ফুটবলার আমি খুব কম দেখেছি — বক্তার নাম পেলে। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির মতো অনেকেই জিনেদিন জিদানকে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় রাখেন।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে জোড়া গোল ছিল জিজুর। ২০০৬ বিশ্বকাপেও ফরাসি-ব্রিগেডকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। দেশের পাশাপাশি ক্লাবের জার্সিতেও অনেক ট্রফি জিতেছেন। কোচ হিসেবেও রিয়াল মাদ্রিদকে পরপর তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এনে দিয়েছেন তিনি। সেই জিদান এবার বিশ্বকাপের আগে নিজের মুখ খুললেন। মূলত ফ্রান্স দল নিয়েই বক্তব্য রাখলেন জিজু।

আরও পড়ুন – কাতার বিশ্বকাপে এবার বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ভয়! ফুটবলারদের জন্য চিন্তিত দলগুলো

ব্রাজিল এবং আর্জেন্তিনা বরাবরই শক্তিশালী। তবে আমার মনে হয়, এই বিশ্বকাপে ইউরোপের দেশগুলি আধিপত্য দেখাবে। পোগবা ও এনগোলো কান্তের ছিটকে যাওয়াটা ফ্রান্সের কাছে বড় ধাক্কা। গত আসরে এই দুই মিডফিল্ডার দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিল। অবশ্য চোট-আঘাত খেলারই অঙ্গ। এতে কারও কিছু করার নেই।

তবে প্লেয়াররা এবার ক্লাব মরশুমের মাঝপথে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। চোট-আঘাতের আশঙ্কাটা আগে থেকেই ছিল। আশা করি, কোচ দিদিয়ের দেশঁর বিকল্প ভাবনা রয়েছে। আতোয়াঁ গ্রিজম্যানের নামটা ভুললে চলবে না। বিশ্বকাপে এই ত্রয়ী বিপক্ষ দলের কাছে ত্রাস হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি করিম বেনজেমা ব্যালন ডি’ওর জিতেছে। এমবাপেও দুর্দান্ত ফর্মে আছে।

এরা লক্ষ্যভেদের পাশাপাশি অনেক অ্যাসিস্টও করবে। ডেনমার্ক অবশ্যই বেগ দেবে। অস্ট্রেলিয়া এবং তিউনিশিয়াকেও হাল্কাভাবে নেওয়া যাবে না। সত্যি বলতে, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে কেউ এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। জিদান মনে করেন গোলরক্ষক হুগো লরিস একজন যোগ্য নেতা। সব সময় পেছন থেকে দলকে মোটিভেট করেন।

এছাড়াও ডিফেন্সে ভারানে এবং থিও হার্নান্দেজ শক্তি বাড়িয়েছেন। মাঝখানে রাবিও এবং তরুণ প্রতিভা কামাভিঙ্গা জায়গা জুড়ে খেলতে পারেন। আর ফরওয়ার্ড লাইন টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী। তাই ফরাসিরা চার বছর আগে রাশিয়ায় যে কীর্তি স্থাপন করেছিল, কাতারে সেটা না করার কোনও কারণ নেই।