#দোহা: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৬-২ ব্যবধানে হেরে যাত্রা শুরু করেছিল ইরান। অনেকেই ভেবেছিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েলস দলের বিরুদ্ধেও নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে এশিয়ার দলটি। কিন্তু নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে ইরান দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে। ম্যাচের শেষ দিকে একাধিপত্য দেখিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে ওয়েলস দলকে।
লড়াই কাকে বলে প্রমাণ করে দিয়েছে চেশমি, হজশফিরা। ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ এবং ফুটবলার মেহেদি তরেমি। এক ব্রিটিশ মহিলা সাংবাদিক তাদের জিজ্ঞেস করেন আজ কেন তারা জাতীয় সংগীত গাইলেন? ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন দেশে ফিরে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে? এই জয় কি শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ?
সাংবাদিক সম্মেলনে এর উত্তর দিতে যাওয়া তারেমিকে আটকে দেন কোচ কার্লস। পরে সাংবাদিক সম্মেলন শেষে সেই মহিলা সাংবাদিককে পর্তুগিজ ম্যানেজার জানান, আপনি ইচ্ছে করে বিতর্কিত প্রশ্ন করছেন কেন? আমার দল কী করবে সেটা ওদের পছন্দ। সব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে এমন নয়।
আপনার সাহস আছে ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেটকে প্রশ্ন করার কেন তাদের দেশের সেনা এবং আমেরিকান সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেল? অন্যের দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা দেওয়া বন্ধ করুন। ম্যাচ সংক্রান্ত প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞেস করতে পারেন। এর বাইরে আমি ফুটবলারদের কোনও উত্তর দিতে দেব না।
Carlos Queiroz was asked by a BBC journalist about the protests in Iran.
He confronted her and asks why she doesn’t ask Gareth Southgate questions about Afghanistan… ? pic.twitter.com/u69isA0Wma
— SPORTbible (@sportbible) November 24, 2022
আমার এই দল ইরানের মানুষের এবং সমর্থকদের জন্য নিজেদের আগেও উজাড় করে দিয়েছে। বিশ্বকাপেও দেবে। আশা করি আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে পেরেছি। আপনি চাইলে যা ইচ্ছে লিখতে পারেন। এরপর সেই মহিলা সাংবাদিক পাল্টা অভিযোগ করেন সৎ সাহস না থাকায় আপনি প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ছাড়েননি ইরানের বয়স্ক পর্তুগিজ ম্যানেজার। তিনি পাল্টা বলেন, আপনি হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে দারুন কপি লিখবেন। অফিসে প্রমোশন পেতে পারেন। কিন্তু আমাদের ছেলেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অধিকার আপনার নেই। আপনি হাজারবার প্রশ্ন করলেও উত্তর দিতে দেব না। যেভাবে বয়স্ক ম্যানেজার পশ্চিম দুনিয়াকে এবং তাদের সংবাদ মাধ্যমকে জবাব দিয়েছেন সেটা মাঠে ইরানি ফুটবলারদের লড়াইয়ের থেকে কম নয় কোনওভাবে।