#রোজারিও: নিন্দুকেরা বলেন আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে তার যতটা সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল, ততটা পাননি। না পাওয়ার অন্যতম কারণ নাকি লিওনেল মেসি। আসলে দুজনেই যে মাঠের একই জায়গা থেকে খেলাটা তৈরি করেন। কিন্তু লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্য হতে পেরে গর্বিত পাওলো দিবালা। অনেকের কাছে ফুটবলটা নিছক খেলা মাত্র, তবে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় হিসেবটা একটু ভিন্ন।
ফুটবলে সেখানে রক্তে মিশে থাকা অকৃত্রিম সংস্কৃতির অংশ। স্বভাবতই দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিরোপা ঘরে তোলায় উল্লাসে মাতোয়ারা দেশটি। মেসি-দিবালাদের বরণ করতে বুয়েনস আয়ার্সে জড়ো হয় প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। নানাভাবে মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে বিজয়ী যোদ্ধাদের উঠে আসার গল্প। এই যেমন দেশটির অন্যতম তারকা পাওলো দিবালার শৈশবের গল্প ও মৃত বাবার শেষ ইচ্ছের কথাও আলোচিত হচ্ছে সেখানকার গণমাধ্যমে।
দিবালার বয়স যখন ১৩ বছর, তখন তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুশয্যায় থাকা বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে যেন একজন পেশাদার ফুটবলার হতে পারে। সেই ইচ্ছের কথা বলে যান তার পরিবারের কাছে। যদিও দিবালা তখন তার বাবার পাশে থাকতে পারেননি। অনুশীলন করতে একাডেমি মাঠে ছিলেন।
5 months with Jose Mourinho > 7 years with Allegri pic.twitter.com/0WlHR55kGG
— Paulo Dybala won Argentina the world cup ?? (@Punjabi_Mou) December 19, 2022
বাবার মৃত্যুর পর তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দিবালাকে এই ইচ্ছের কথাটি জানান। সেই দিবালা পেশাদার ফুটবল ছাপিয়ে এখন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবল তারকা। ট্রফি উঁচিয়ে ছেলে ঘরে ফিরেছেন এমন দৃশ্য বাবা দেখে যেতে না পারলেও দিবালার স্মৃতি জুড়েই যে শুধু বাবাই ছিলেন সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শিরোপা হাতে নিয়েই উঁচিয়ে ধরার আগে আকাশ পানে মুখ তুলে তাকান দিবালা। সবার আগে স্মরণ করেছিলেন বাবাকে। বিড়বিড় করে হয়তো বলেছিলেন, বাবা আমি এখন শুধু একজন পেশাদার ফুটবলারই নই, আমি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়। দিবালা জানিয়েছেন বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন সফল করতে পেরে তিনি গর্বিত। লিওনেল মেসির কাছে তিনি কৃতজ্ঞ থাকবেন সব সময়।