#কলকাতা: আর নতুন করে হতাশ হন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। কারণ তারা বুঝে গিয়েছেন জঘন্য দল থাকলে তার ফল কি হতে পারে। যেটা হওয়ার সেটাই হচ্ছে। এ যেন হারতে হারতে হারান হওয়ার অবস্থা। শেষ চারটি ম্যাচে মাথা হেঁট করে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিং-রুমে। প্রতিপক্ষ বা ভেন্যু বদলালেও, ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ইস্ট বেঙ্গলেই। আর কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন এখনও অজুহাত দিতে ব্যস্ত।
কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচে নামার আগে বিদেশি কোচের নিশানায় কর্মকর্তারা। বললেন, শেষবেলায় বাজার করতে গেলে তাজা জিনিস মেলে না। দলগঠনে দেরি হওয়ায় এই অবস্থা। জানি, সাফল্য এনে দিতে না পারলে পরের মরশুমে চাকরি হারাব। তাই দল প্রথম ছয়ে থাকুক, এটা আমার চেয়ে বেশি কেউই চায় না। ছেলেরা ভালো পারফর্ম না করতে পারলে রাতে ঘুমোতে পারি না।
জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডো নিয়েও ইস্টবেঙ্গলে কম জলঘোলা হয়নি। শেষবেলায় ব্যান উঠলে, জ্যাক জার্ভিসকে সই করানো হয়। এই প্রসঙ্গে স্টিফেনের মন্তব্য, ‘জ্যাক খুবই ভালো সংযোজন। কিন্তু ওকে আমি ওড়িশা ম্যাচে খেলাতে পারলাম না। এর দায় কে নেবে? তাছাড়া কনস্টানটাইন মনে করেন, তাঁর অধীনেই আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে।
Ahead of #EBFCKBFC, Charis Kyriacou ? reveals how he’s motivating his teammates, his experience of playing in India, and speaks about our next opponent Kerala Blasters FC in this @BoroplusSkin pre-match talk.
Watch ? https://t.co/CsJ5ECHGTy#JoyEastBengal #HeroISL #আমাগোমশাল pic.twitter.com/0uhJzY06Mf
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) February 3, 2023
প্রথম লেগে কলকাতার এই প্রধানকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল কেরল। তাহলে এটা ইস্ট বেঙ্গলের কাছে বদলার ম্যাচ? ফুটবলার কিংবা কোচেদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে অবশ্য তা মনে হল না। স্টিফেন বললেন, বদলা হিসেবে ভাবছি না। ম্যাচটা আমাদের খেলতেই হবে। প্রথম লক্ষ্য থাকবে না হারা।
এদিকে, শুক্রবারই ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে জ্যাক জার্ভিসের অভিষেক হবে। আপফ্রন্টে তিনি ক্লেটনকে কতটা সঙ্গত করতে পারেন, সেটাই দেখার। ইস্টবেঙ্গল অবশ্যই একটা মরণ কামড় দেবে কেরালকে হারাতে।