চেন্নাই – ২
ইস্টবেঙ্গল – ০
চেন্নাই: চলতি আইএসএলে ধারাবাহিকতার অভাবে বারবার ভুগতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেই ‘লাস্ট বয়’ নর্থইস্টের কাছে পয়েন্ট খুইয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল। চলতি আইএসএলে টানা দু’ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন এখনও অধরা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। যদিও পরিসংখ্যান ভুলে কোচ স্টিফেনের লক্ষ্য, লিগের বাকি তিন ম্যাচে ভাল ফল করে সম্মানজনকভাবে অভিযান শেষ করা।
রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ছিল পয়েন্ট টেবিলে অষ্টম স্থানে থাকা চেন্নাইয়ান এফসি। দক্ষিণের দলটি শেষ আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। ছন্নছাড়া চেন্নাইকে হারিয়ে লিগ টেবিলে অবস্থানের উন্নতি করাই লক্ষ্য ছিল ক্লেটন সিলভাদের। আইএসএলের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আপফ্রন্টকে একার কাঁধে টানছেন ক্লেটন সিলভা।
এই মুহূর্তে লিগের টপ স্কোরার তিনিই। নামের পাশে ১২ গোল। গত দু’ম্যাচে জ্যাক জার্ভিসের অন্তর্ভূক্তিতে অনেকটা চাপমুক্ত দেখিয়েছে ক্লেটনকে। স্টিফেনও মানছেন, ব্রিটিশ স্ট্রাইকারটি আসায় আপফ্রন্টে ভারসাম্য বেড়েছে। এদিনও প্রথমদিকে জ্যাক জার্ভিস গোলের সুযোগ হারালেন। সুহেরও মিস করলেন। চেন্নাই যে সুযোগ পায়নি এমন নয়।
.@ChennaiyinFC get back to winning ways after 8 matches! ?#CFCEBFC #HeroISL #LetsFootball #ChennaiyinFC #EastBengalFC pic.twitter.com/jX7zszoz9E
— Indian Super League (@IndSuperLeague) February 12, 2023
৪৮ মিনিটে এগিয়ে গেল চেন্নাই। থাপর সেন্টার থেকে গোল করে গেলেন কারিকারি। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স ধরতেই পারেনি জার্মান ফুটবলার জুলিয়াসের ফ্রিকিক। তবে এরপরেও যে ইস্টবেঙ্গল খেলা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল সেটা বলা যাবে না। জেরি, মবাশির, জর্ডান, জ্যাক চেষ্টা করলেন, কিন্তু কিছুতেই গোল আসছিল না। সুযোগ পেলেই কাউন্টার আক্রমণ তুলে আনছিল দক্ষিণের দল।
আজকেও ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে প্রচুর পরিশ্রম করলেন মহেশ। লড়াই করলেন বাংলার সার্থক। কিন্তু আজ ক্লেটন সিলভা নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না। কি যেন বল না পান সেদিকে বিশেষ নজর ছিল চেন্নাইয়ের। তাই তিনি বল ধরলেই দুজন করে ডিফেন্ডার জায়গা নিয়ে নিচ্ছিলেন।
ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে প্রথম দিকে ভালো খেললেও চুনুঙ্গার পারফরম্যান্স প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে গেল চেন্নাই। এদুইনের পাস থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ালেন রহিম আলি। এখানেই শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের লড়াই। আমার একটা হার। আবার লজ্জা। এটাই হয়তো লাল হলুদের ভবিতব্য।