মুম্বইকে হারিয়ে দিয়ে চমক ইস্টবেঙ্গলের, ডার্বির আগে মশাল জ্বলে উঠল আরব সাগরের ধারে

কলকাতা: আজ ইস্টবেঙ্গলের সামনে ছিল ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। লাল হলুদের ব্রাজিলীয় তারকা ক্লেটন সিলভাকে নিয়ে প্রবল চিন্তায় ছিলেন স্টিফেন। একটা হলুদ কার্ড দেখলেই কলকাতা ডার্বিতে খেলা হত না তার। খেলতে পারেনি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেসও। কদিন আগে সংবাদমাধ্যমে রটে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেনের সঙ্গে নাকি লম্বা চুক্তিতে যাচ্ছে ক্লাবের ইনভেস্টর সংস্থা।

কিন্তু কোচ নিজে জানিয়েছেন এমন কোন প্রস্তাব তিনি পাননি। ব্রিটিশ কোচ জানেন কিছুটা সম্মান নিয়ে শেষ করতে না পারলে পরের বার চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই রবিবার এক নম্বর দল মুম্বই সিটিএফটির বিরুদ্ধে কিছুটা সম্মানজনক প্রদর্শন করতে চেয়েছিল লাল হলুদ। প্রথম সাক্ষাৎকারে কলকাতার মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ উড়িয়ে দিয়েছিল শীর্ষস্থানে থাকা মুম্বই।

চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে গত দু’বারের তুলনায় যা ভাল। তবে একইসঙ্গে হারের নিরিখে লজ্জার নজির গড়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের ছেলেরা। ১৮ ম্যাচে ১২টি’তে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ক্লেটন সিলভাদের।

তবে যেহেতু মুম্বই কোয়ালিফাই করে গিয়েছে এবং লিগ, শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে – তাই আজ স্টুয়ার্ট, গ্রিফিথ, আপুইয়াদের মতো প্রথম দলের ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছিল তারা। ছিলেন না বিক্রম প্রতাপ, মেহতাব সিং ও। প্রথমার্ধে গোল করার তিনটে সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই। চংটে, বিপিনরা বল জালে পাঠাতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করছিল বটে, কিন্তু সেভাবে ওপেন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না।

কিন্তু হঠাৎ করেই গতির বিপরীতে ৫২ মিনিটে গোল করে দিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের মাইনাস সুহের ফলস দিলে মহেশ জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। কিছুই করার ছিল না মুম্বই গোল রক্ষকের। মাঠে উপস্থিত অল্প কয়েকজন লাল হলুদ সমর্থক এরপর ইস্টবেঙ্গলকে মোটিভেট করতে থাকেন। তবে গোল খেয়ে মুম্বই মরিয়া হয়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিত বেশ কিছু ভাল সেভ করেন।