ঢাকা: কাতার বিশ্বকাপে ৩৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের পর লাতিন আমেরিকার দল হিসেবে তারাই আবার এশিয়ার মাটি থেকে বিশ্বের সেরা হয়েছিল। যত লোক আর্জেন্টিনায় খুশি হয়েছিল তার চেয়ে বেশি মানুষ খুশি হয়েছিলেন ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। প্রচুর বাংলাদেশি রাত জেগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নীল সাদা জার্সি পড়ে সমর্থন দিয়েছিলেন মেসির আর্জেন্টিনাকে।
কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান কাজি সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন এবছরের মাঝামাঝি পূর্ণশক্তির আর্জেন্টিনা দল আসতে পারে বাংলাদেশ সফরে। কিন্তু পরে সেই সম্ভাবনা কমে যায়। এখন সেই সম্ভাবনা আরও কম। বাংলাদেশের মানুষের আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি ভালবাসার কথা উল্লেখ করে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন – তার রেকর্ডের ধারে কাছে নেই পেলে থেকে মারাদোনা, মেসি, রোনাল্ডো! মৃত তারকা স্ট্রাইকার
হাসিনার দফতর থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। তবে দুই নেতার মধ্যে ফুটবল নিয়ে ঠিক কী কী কথা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যেই উঠেছে ফুটবলের প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও বহু মানুষ আর্জেন্টিনা নীল-সাদা জার্সি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন।
“Help ?develop ??our ⚽️ football. ?? @imessi and ??Argentina football are very familiar up to our grassroots level”, ??PM Sheikh Hasina seeks ??Argentina’s help in ?developing ??Bangladesh ⚽️ football.@SantiagoCafiero,@BDMOFA, @bff_football pic.twitter.com/gsXgdQBcnq
— Gopal Sengupta (@senguptacanada) March 1, 2023
ক্যাফিয়েরোও দূতাবাসের অনুষ্ঠানে মেসিদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। কথা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবলের উন্নতির ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সমর্থন দেবে আর্জেন্টিনা। দুই দেশের মধ্যে ফুটবলার আদান-প্রদান হতে পারে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নয়, উপযুক্ত কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে চায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
সেই সফর এখনও নিশ্চিত নয়। আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো কোনও নিশ্চয়তা দিতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন এই ব্যাপারটি ঠিক করে আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থা। উল্লেখ্য এর আগে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা যখন ২০১১ সালে ভারত সফরে এসেছিল তখন তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল ভারতের জাতীয় দলের বিরুদ্ধে খেলতে।
কিন্তু সেই ফিফার তালিকায় ভারত এত পিছিয়ে থাকার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। কলকাতায় আর্জেন্টিনার খেলেছিল ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে। বাংলাদেশে গিয়ে তারা খেলেছিল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনার ফিফায় ২ নম্বর স্থান। সেখানে বাংলাদেশে আছে ১৯২ স্থানে। তাই একই কারণে এত পিছিয়ে থাকা দেশের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি নয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শুনে বাংলাদেশের মানুষের মন খারাপ হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি কথা।