Tag Archives: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina on Boycott India: ‘বউদের ভারতীয় শাড়িগুলো পোড়ান দেখি!’ বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের হুজুগ, গর্জে উঠলেন হাসিনা

ঢাকা: বিরোধী দল বিএনপির যে নেতারা ভারতীয় পণ্য বয়কট করার হুজুগ তুলেছেন, তাঁদের এবার একহাত নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বিরোধী পক্ষের ওই নেতাদের কটাক্ষ করেই হাসিনার চ্যালেঞ্জ, আগে নিজেদের স্ত্রীদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে তার পর ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিন৷

সম্প্রতি বাংলাদেশ জুড়েই ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক জোরাল হচ্ছে৷ বাংলাদেশের জনমানসের একাংশও ভারতীয় পণ্য বয়কটের এই দাবিকে প্রবল ভাবে সমর্থন করছেন৷ ফেসবুকের মতো সমাজমাধ্যমেও ভারতীয় পণ্য বিরোধী প্রচার চলছে৷

আরও পড়ুন: ‘ননদ- বৌদিরও তো ঝগড়া হয়!’ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন, কী জবাব রচনার?

অথচ পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় বহু সামগ্রীর জন্যই বাংলাদেশ ভারতের উপরে নির্ভরশীল৷ বহু ভারতীয় সংস্থা বাংলাদেশে নিজেদের পণ্য উৎপাদনও করে৷ সাবান থেকে শুরু করে খাদ্য দ্রব্য এমন কি, দু চাকা, চার চাকার গাড়ি, তালিকাটা দীর্ঘ৷ এই সব ভারতীয় সংস্থা এবং পণ্যের বিরুদ্ধেও একই ধরনের প্রচার চলছে৷

অভিযোগ, ভারত বিরোধী এই প্রচারে উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ কিছুদিন আগেই টানা চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছেন শেখ হাসিনা৷ বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, হাসিনার ক্ষমতায় ফেরার পিছনে রয়েছে ভারতের কারসাজি৷ আর এই অভিযোগকে সম্বল করেই ভারত বিরোধী প্রচারে নেমেছে তারা৷ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন, ভারত আসল সাধারণ বাংলাদেশীদের ভাল চায় না, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে চায়৷

এবার এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং৷ ভারত বিরোধী প্রচারে উস্কানি দেওয়া বিরোধী নেতাদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাদর কিনে এনে পুড়িয়ে বলছে ভারতীয় পণ্য বয়কট করুন৷ আমার প্রশ্ন, যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন তাঁদের বউদের কটা ভারতীয় শাড়ি আছে? বউদের থেকে সেই শাড়িগুলি নিয়ে এসে কেন পোড়াচ্ছেন না? আপনারা ওই নেতাদের এই প্রশ্নটা করুন৷ যে বিএনপি নেতারা এসব বলছেন, তাঁদের বউরা যেন কোনও ভারতীয় শাড়ি না পরেন৷ আলমারিতে থাকা বউদের সব ভারতীয় শাড়ি এনে পোড়াবেন, সেদিন বুঝব সত্যি আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করছেন৷ আমাদের দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, ভারত থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি৷ এ ছাড়াও গরম মশলা, আদা, রসুন ভারত থেকে আসছে৷ যাঁরা বলছেন ভারতীয় পণ্য বয়কট করুন, তাঁদের বাড়ির রান্নাঘরেও যেন এসব মশলা দেখা না যায়৷ এ সব ভারতীয় মশলা ছাড়াই রান্না করে খান আগে৷’

বাংলাদেশের আগে একই ধরনের ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল মলদ্বীপ৷ তার জেরে তাদের পর্যটন ব্যবসা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে মলদ্বীপেই অর্থনীতিতেই বড়সড় প্রভাব পড়তে শুরু করে৷ ভারত বিরোধী এই মনোভাবকে প্রশয় দিলে অচিরেই বাংলাদেশের অবস্থাও যে মলদ্বীপের মতো হতে পারে, পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হাসিনার তা বুঝতে দেরি হয়নি৷

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা আরও দাবি করেন, বিরোধী দল বিএনপির নেতাদের মধ্যে অনেকের স্ত্রী একসঙ্গে কলকাতায় এসে কয়েক বাক্স ভর্তি শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশে ফেরেন৷ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজে দেখেছি বিমানে চার পাঁচজন করে নেতার স্ত্রী কলকাতায় যাচ্ছেন৷ পরে কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রেই জানতে পেরেছি ফেরার সময় এক একজন সাত আটটি স্যুটকেস ভর্তি শাড়ি নিয়ে ফিরেছেন৷’

ভারত বরাবরই বিভিন্ন কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ বাংলাদেশীদের মধ্যে বহু মানুষই ভারত বিরোধী এই অবস্থানের পক্ষে নন৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী সরব হওয়ায় বাংলাদেশে ভারত বিরোধী এই প্রচারে রাশ টানা যায় কি না, সেটাই এখন দেখার৷

Bangladesh Election: শেখ হাসিনা ফের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সেই খবরে জলপাইগুড়ির গ্রামে যা ঘটল, অবিশ্বাস্য!

জলপাইগুড়ি: প্রতিবেশী দেশ তথা বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ফলের প্রভাব পড়ল এপার বাংলাতেও। বাদ যায় নি জলপাইগুড়ি শহরও। শেখ হাসিনার জয়ের ফল ঘোষণার পর থেকেই আনন্দে মেতে উঠেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত বাংলাদেশ বর্ডার সংলগ্ন এলাকা চাউল হাটির তশর পাড়ার বাসিন্দারা। অকাল আবির খেলায় মাতলেন তারা। ভারতের পতাকা হাতে নিয়ে আবির খেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জয়কেও উদযাপন করতে দেখা গেল সেখানে।

রাজনৈতিক হিংসার মধ্যেও বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে। নির্বাচনের আগে সারাদেশে হিংসা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তবে, প্রধান বিরোধী দল তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (BNP) এই নির্বাচন বয়কট করায় চতুর্থ বারের মতো শেখ হাসিনার জয় সম্ভাব্য ছিলই। আর এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দে মেতে ওঠে জলপাইগুড়ি বড় সংলগ্ন এলাকার মানুষেরাও।

আরও পড়ুন: ‘কুণাল ঘোষের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তুঙ্গে শোরগোল

শেখ হাসিনার জয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর এবং মজবুত হবে বলেই মনে করছেন এপার বাংলার মানুষেরা। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই সীমান্ত গ্রামে সোমবার সকাল থেকেই উৎসবের আমেজ।নতুন প্রজন্মের সঙ্গে গ্রামের মানুষ আবির খেলায় মেতে ওঠে এদিন।আনন্দ উৎসবের কারন জানাতে গিয়ে গ্রামের যুবক পুলক রায় বলেন, “প্রতিবেশী দেশে পুনরায় ভারতের বন্ধু সরকার ক্ষমতায় আসার খবর পেয়েই সবাই মিলে এই আনন্দ উৎসবের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছি আমরা।”

আরও পড়ুন: রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য বিরাট ঘোষণা মমতার! আজ থেকে চালু যোগ্যশ্রী!

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা অনেক আগেই ভারতকে বাংলাদেশের “বিশ্বস্ত বন্ধু” হিসেবে সম্বোধন করেছেন। হাসিনার এই জয় সেই বন্ধুত্বকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

—– সুরজিৎ দে

Bangladesh Election Results 2024: রেকর্ড-জয় হাসিনার! বাংলাদেশে ফের নৌকোর জয়যাত্রা! সর্বশেষ রিপোর্টে ৯৫ আসনে জয়ী আওয়ামি লিগ ও শরিক দল!

ঢাকা : বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস রুখে ফের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭টার পরই ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া কোটালিপাড়া) কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন হাসিনা। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান প্রায় আড়াই লক্ষ। ফলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। বিপুল অঙ্কের ব্যবধানে স্বভাবতই খুশি ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ। আগামী ৫ বছরের জন্য ফের বাংলাদেশের ক্ষমতার রাশ থাকছে তাদের হাতেই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ বেসরকারি ফলাফল বলছে, আওয়ামি লিগ ও শরিক দলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৯৫আসনে। জাতীয় পার্টি ৭ স্বতন্ত্র 2৬ অন্যান্য ০। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে নৌকা ও একটিতে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সিলেটে পাঁচ‌টিতে আওয়ামি লিগ ও একটিতে স্বতন্ত্র দলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। রোববার রাত সোয়া ১টার দিকে রিটার্নিং আধিকারিক সূত্রে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা হয়েছে।

Bangladesh Election 2024: বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রভাব ভারতের সীমান্তেও, রয়েছে বাড়তি সতর্কতা

নদিয়া: ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও উত্তেজনা রয়েছে সমানভাবে। তার কারণ পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে একাধিক অবদান রয়েছে ভারতের।

রবিবার  ভোট হচ্ছে বাংলাদেশ । সেই নির্বাচন নিয়ে উৎসাহিত কলকাতার তথা বাংলার মানুষ জনেরাও। এর কারণ কলকাতার সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত বাংলাদেশ। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বাস্থ্য শিক্ষা, বাণিজ্য এবং ভ্রমণের উদ্দেশেযাতায়াত করে থাকেন বাংলার গেদে, পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে।

তবে নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই ভারত বাংলাদেশের সীমান্তগুলিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা যায় প্রশাসন সূত্রে। এর কারণ অতীতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে বাংলায় ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে একাধিক চোরা চালান এবং অনুপ্রবেশকারীদের আনাগোনা।

আরও পড়ুন – Shani Vakri 2024: শনিদেব বক্রী হচ্ছেন, টাকা-পয়সা কুলকুলিয়ে ঢুকবে পকেটে, বিপদ উড়ে যাবে এক ফুঁতে, তোলপাড় ৪ রাশিতে

যদিও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে অধিকাংশ সময়ই সেই সব অনুপ্রবেশকারী এবং চোরাচালান কারবারিরা ধরা পড়ে গিয়েছে, কিন্তু প্রশাসনের কড়া নজরদারি এড়িয়ে ও অনেক সময় এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা তাদের কার্যসিদ্ধি করে থাকে। এবং সেই কারণেই নির্বাচন উপলক্ষে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই দেশের সীমান্তে। এমনটাই জানা যাচ্ছে প্রশাসনিক সূত্র মারফত।

নদিয়ার গেদে সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা অমরেশ দেবনাথ জানান, “ভারতে অথবা বাংলাদেশ নির্বাচনের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা। এর কারণ নির্বাচনের সময় চোরাচালানকারী কিংবা অনুপ্রবেশকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে বেশি করে। আর সেই কারণেই এই নিরাপত্তা।”

ভারতের গেদে সীমান্তে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী অসীম মন্ডল জানান, “সারা বছর ধরেই গেদে দর্শনা সীমান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ দুই দেশে যাতায়াত করে থাকেন। তবে অন্যান্য দিনের থেকে এই সময়টা কাস্টমস এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন। কোন রকম অপ্রীতিকর কিছু দেখলেই তারা সেটি ভালো করে যাচাই করে নিচ্ছেন যাতে নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে কোনরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়”। তাই পড়শি দেশের নির্বাচন স্বাভাবিকভাবে যাতে সম্পূর্ণ হয় তা নিয়ে সতর্ক আমাদের দেশও।

Mainak Debnath

Bangladesh Election 2024: ‘আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু…’ ভোটের দিন ভারতকে দরাজ সার্টিফিকেট শেখ হাসিনার

কলকাতাঃ সকাল থেকেই আরও উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে গড়ে উঠেছে হিংসার আবহ। সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তারপর থেকেই আরও চড়ছে উত্তেজনার পারদ। রবিবার, সকালবেলাই ভোট দিতে হাজির হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম খবর অনুযায়ী, ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজধানী ঢাকার সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে শেখ হাসিনা ভোট দেন।

আরও পড়ুনঃ জ্বলছে বাংলাদেশ, তবু চলছে ভোট! বড় মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

ভোট দিয়ে বেড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের করা সাহায্যের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন সেই ঘটনা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

 

সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমাদের ভারতের মতো বিশ্বস্ত বন্ধু রয়েছে। তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের পর, যখন আমরা আমাদের পুরো পরিবারকে হারিয়েছিলাম, ভারত আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল।’

ভোট দিয়ে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদমধ‍্যমকে জানান যে, দেশের জনগণের উপর তাঁর আস্থা রয়েছে। তাঁর দলেরই জয় হবে বলে তিনি নিশ্চিত। নৌকার উপর আস্থা রেখেছেন সাধারণ মানুষ দাবি প্রধানমন্ত্রীর। অপরদিকে, শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল (ধর্মঘট) শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল। তা চলবে সোমবার পর্যন্ত। এই প্রসঙ্গে হাসিনা রবিবার বলেন, ‘‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের হরতালের তালে নাচে না।’’

Bangladesh Election 2024: জ্বলছে বাংলাদেশ, তবু চলছে ভোট! বড় মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

কলকাতাঃ  ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে আজ নির্বাচন। জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এই আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট। রবিবার সকাল ৮টা থেকেই সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। তবে, চলতি বছর মোট ৩০০টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল হয়েছে। ভোট হচ্ছে না নওগাঁ-২ কেন্দ্র। তাই রবিবার ২৯৯টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে আজ ভোট, কত আসনে? সরকার গঠনেই বা কত সিট প্রয়োজন? হাসিনার বড় চ্যালেঞ্জ

রবিবার, সকালবেলাই ভোট দিতে হাজির হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম খবর অনুযায়ী, ভোট শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাজধানী ঢাকার সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে শেখ হাসিনা ভোট দেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিক ছিলেন সেই আসনের তারকা প্রার্থী, অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। তা ছাড়াও, মায়ের সঙ্গে ভোটগ্রথণ কেন্দ্রে দেখা যায় কন্যা সায়মা ওয়াজেদ, হাসিনার বোন শেখ রেহানা এবং তাঁর পুত্র রাদওয়ান মুজিবকে।

ভোট দিয়ে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদমধ‍্যমকে জানান যে, দেশের জনগণের উপর তাঁর আস্থা রয়েছে। তাঁর দলেরই জয় হবে বলে তিনি নিশ্চিত। নৌকার উপর আস্থা রেখেছেন সাধারণ মানুষ দাবি প্রধানমন্ত্রীর। অপরদিকে, শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল (ধর্মঘট) শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল। তা চলবে সোমবার পর্যন্ত। এই প্রসঙ্গে হাসিনা রবিবার বলেন, ‘‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের হরতালের তালে নাচে না।’’

নির্বাচনের কিছুদিন আগে থেকেই শুরু আশান্ত বাংলাদেশ। নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য বুধবার সেনাবাহিনীকে নামিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। সারা দেশে এক লক্ষ ৭৪ হাজার কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।

বাংলাদেশের মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি নয় আর্জেন্টিনা! আশা ছাড়ছেন না শেখ হাসিনা

ঢাকা: কাতার বিশ্বকাপে ৩৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের পর লাতিন আমেরিকার দল হিসেবে তারাই আবার এশিয়ার মাটি থেকে বিশ্বের সেরা হয়েছিল। যত লোক আর্জেন্টিনায় খুশি হয়েছিল তার চেয়ে বেশি মানুষ খুশি হয়েছিলেন ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। প্রচুর বাংলাদেশি রাত জেগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নীল সাদা জার্সি পড়ে সমর্থন দিয়েছিলেন মেসির আর্জেন্টিনাকে।

কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান কাজি সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন এবছরের মাঝামাঝি পূর্ণশক্তির আর্জেন্টিনা দল আসতে পারে বাংলাদেশ সফরে। কিন্তু পরে সেই সম্ভাবনা কমে যায়। এখন সেই সম্ভাবনা আরও কম। বাংলাদেশের মানুষের আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি ভালবাসার কথা উল্লেখ করে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন – তার রেকর্ডের ধারে কাছে নেই পেলে থেকে মারাদোনা, মেসি, রোনাল্ডো! মৃত তারকা স্ট্রাইকার

হাসিনার দফতর থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। তবে দুই নেতার মধ্যে ফুটবল নিয়ে ঠিক কী কী কথা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যেই উঠেছে ফুটবলের প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও বহু মানুষ আর্জেন্টিনা নীল-সাদা জার্সি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন।

ক্যাফিয়েরোও দূতাবাসের অনুষ্ঠানে মেসিদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। কথা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবলের উন্নতির ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সমর্থন দেবে আর্জেন্টিনা। দুই দেশের মধ্যে ফুটবলার আদান-প্রদান হতে পারে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নয়, উপযুক্ত কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে চায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

সেই সফর এখনও নিশ্চিত নয়। আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো কোনও নিশ্চয়তা দিতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন এই ব্যাপারটি ঠিক করে আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থা। উল্লেখ্য এর আগে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা যখন ২০১১ সালে ভারত সফরে এসেছিল তখন তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল ভারতের জাতীয় দলের বিরুদ্ধে খেলতে।

কিন্তু সেই ফিফার তালিকায় ভারত এত পিছিয়ে থাকার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। কলকাতায় আর্জেন্টিনার খেলেছিল ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে। বাংলাদেশে গিয়ে তারা খেলেছিল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনার ফিফায় ২ নম্বর স্থান। সেখানে বাংলাদেশে আছে ১৯২ স্থানে। তাই একই কারণে এত পিছিয়ে থাকা দেশের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি নয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শুনে বাংলাদেশের মানুষের মন খারাপ হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি কথা।