শেফালির ব্যাটিং তাণ্ডব এবং কাপের ৫ উইকেট! গুজরাতকে নিয়ে ছেলে খেলা দিল্লির মেয়েদের

গুজরাত জায়ান্টস – ১০৫/৯, ২০
দিল্লি ক্যাপিটালস – ১০৭/০, ৭.১ ( শেফালি ৭৬*)

দিল্লি: শেফালি ভার্মার অতিমানবীয় ইনিংস ও গুজরাতের শোচনীয় ব্যাটিং এর দৌলতে গুজরাতকে ১০ উইকেটে দুরমুশ করল দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার সন্ধ্যায় ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেন গুজরাত জায়ান্টস অধিনায়ক স্নেহ রানা। প্রথম থেকেই নিয়মিত অন্তরালে উইকেট হারাতে থাকে গুজরাট। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ম্যারিজেন কাপের বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মেঘানা।

তৃতীয় ওভারে সেই কাপের বলেই মাত্র ১ রানে বোল্ড হয়ে ফিরে যান অপর ওপেনিং ব্যাটার উলভার্ডট। এই ম্যাচে খাতাই খুলতে পারলেন না সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার এশলে গার্ডনার। কাপের বলেই এলবিডাব্লু হয়ে ফিরে যান তিনি। শিখা পান্ডের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ৫ রানে ফেরেন হেমলতা।

ভাল খেলতে খেলতেই ১৪ বলে ২০ রান করে মেরিজানের বলে এল বি ডাব্লু হয়ে ফিরে যান হারমিন দেওল। মাত্র ২ রানে ফেরেন সুষমা ভার্মাও। ৩৩/৬ স্কোর থেকে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন গার্থ ও ওয়ারহাম। কিন্তু ত্রয়োদশ ওভারে ওয়ারহামের উইকেট হারায় গুজরাট। ২৫ বল খেলে ২২ রান করে রাধা যাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ওয়ারহাম।

দুজনের মধ্যে ৩৩ রানের পার্টনারশিপ হয়। এরপর রান তোলার চক্করে একের পর এক বাকি উইকেটগুলি হারাতে থাকে গুজরাট। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানই করতে সমর্থ হয় তারা। আয়ারল্যান্ডের কিম গার্থ ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই খড়গহস্ত ছিলেন শেফালি ভার্মা।

তার বিধ্বংসী ব্যাটিং এই তছনছ হয়ে গেল গুজরাতের বোলিং। গার্থ,কানওয়ার, গার্ডনার, যোশী বিন্দুমাত্র রেহাই পাননি কেউ। মাত্র ২৮ বলে ৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংস নি:সন্দেহে চলতি মহিলা আইপিএল এর সেরা ইনিংস। ১০ টি চার ও ৫ টি বিশাল ছয়ে সাজানো ছিলো শেফালির ইনিংস।

তাকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন দিল্লি অধিনায়ক ম্যাগ ল্যানিং। ১৫ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। মাত্র ৭ ওভার এক বলেই লক্ষ্যপূরণ করে ফেললো দিল্লি। ১০ উইকেটে হারলো গুজরাট।