ইউক্রেনকে এবার যুদ্ধের ট্যাঙ্ক বিক্রি করবে কাঙাল পাকিস্তান! রেগে আগুন পুতিন

লাহোর: দেশের মানুষ দুবেলার জায়গায় একবেলা খেয়ে বেঁচে আছে। মহিলারা রাস্তায় ভিক্ষা করছে। কিন্তু পাকিস্তানের দালালির শেষ নেই। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধের ট্যাংক পাঠাবে। টি ইউ ডি ৮০ নামক এই ট্যাংক আটের দশকে কিনেছিল পাকিস্তানি সেনা। তার মধ্য থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে চল্লিশটি ট্যাংক পাঠানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে।

তবে কত দামে পাকিস্তান এই ট্যাংক পাঠাচ্ছে সেটা জানা যায়নি। তবে এই ট্যাংক বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যাবে সেটা দেশের মানুষের কাজে না লাগিয়ে চিন থেকে আধুনিক ভি টি ৪ ট্যাঙ্ক কিনবে তারা। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা দফতরের সঙ্গে চুক্তি হল পাকিস্তানের সামরিক অস্ত্র প্রস্তুক কারক সংস্থার।

শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি মোট ১৬২টি বাক্স পাকিস্তান থেকে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল কামানের রকেটও। এই সবকটি বাক্সই গত মাসে করাচি বন্দর থেকে জার্মানি হয়ে ইউক্রেনে গেছে। এমভি জুইস্ট নামে একটি জাহাজ এই সব সামরিক উপকারণ গুলি জার্মানির এমডেম বন্দর হয়ে ইউক্রেন পৌঁছায়। এই জাহাজটি গত বছর পাকিস্তান থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।

এদিকে ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা! কিন্তু কূটনীতি করতে পিছপা নয় ‘ভুখা’ পাকিস্তান। খাদ্য শস্য নেই, তেল নেই, টাকা নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি করল পাকিস্তান। আবার যেমন তেমন চুক্তি নয়, এক্কেবারে সামরিক চুক্তি। পাকিস্তানি সংস্থা মেসার্স কেস্ট্রালের সিইও লিয়াকত আলি বেগ গত মে এবং জুন মাসে পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং স্লোভাকিয়া ভ্রমণ করেছিলেন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তান ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ঠিকাদারদের ব্যবহার করছে। আর ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেস থেকে। এর ফলে রাশিয়া কি প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই দেখার। পুতিন রাজি হয়েছিল কম দামে পাকিস্তানকে তেল বিক্রি করার। এবার শাহবাজ শরিফ প্রশাসনকে রাশিয়ার সঙ্গে গাদ্দারী করার মূল্য দিতে হয় কিনা সময় বলবে।