KKR: কেকেআরের সামনে এবার গুজরাত! মিশন হার্দিকের জন্য তৈরি নাইট রাইডার্স

কলকাতা: ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন খালি হাতে ফেরায়নি শাহরুখ খানের দলকে। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেছে নাইট রাইডার্স। এখন শুধুই ‘ফিল গুড ফ্যাক্টর’। দেখে মনে হবে, এই মুহূর্তে আইপিএলের সবচেয়ে সুখী দল কেকেআর। বড় ব্যবধানে জয়ের পর ইডেনে যে উৎসব শুরু হয়েছিল, ড্রেসিংরুম ছাড়িয়ে তা গড়ায় টিম হোটেলেও।

অতীতে ঘরের মাঠে বহু ম্যাচ জিতেছেন নাইটরা। তবে বৃহস্পতিবারের জয় অবশ্যই স্পেশাল। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শৃঙ্গ জয়েরই সামিল। তিন বছর পর নাইটরা খেলতে নেমেছিল ঘরের মাঠে। তাই গ্যালারিতে ছিল বিপুল উন্মাদনা। কিন্তু একটুর জন্য সব কিছু জলে যেতে বসেছিল। যদি ঈশ্বরের দূত হয়ে ব্যাটসম্যান শার্দূলের আবির্ভাব না ঘটত ইডেনে।

আরও পড়ুন – Jason Roy: কেকেআর শিবিরে পৌঁছে গেলেন ওপেনার জেসন রয়! গুজরাতের বিরুদ্ধে খেলতে পারেন

একটা বিষয় স্পষ্ট, টিম গেমে অনেক কিছু করা সম্ভব। আর এই ‘রিং টোন’কে সামনে রেখেই আগামীতে পথ চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ছেলেরা।কেকেআরের মিশন এবার গুজরাত। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে পর পর দু’টি ম্যাচ জিতেছে গুজরাত টাইটান্স। সেই গতিতে লাগাম টানার চ্যালেঞ্জ এবার নাইটদের সামনে। গত ম্যাচে দাপটে জয়ের পরও দলের বেশ কিছু দুর্বলতা চিন্তায় রাখছে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে।

সমস্যাগুলি দ্রুত সারিয়ে নিতে না পারলে, এই সাফল্য ধরে রাখা মুশকিল হবে। কেকেআরের টপ অর্ডার একেবারেই ছন্দে নেই। বিশেষ করে ওপেনিং জুটি। রহমনুল্লাহ গুরবাজের যোগ্য সঙ্গী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভেঙ্কটেশ ব্যর্থ হয়েছেন। মনদিপ সিং কেন দলে আছেন বোঝা যাচ্ছে না। সাকিব-আল-হাসানের পরিবর্ত জেসন রয় এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

সরাসরি গুজরাতে তিনি যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। তবে ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটসম্যানকে পরের ম্যাচে খেলানো হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। লিটন দাস কবে আসবেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা অব্যাহত। নারিন ও আন্দ্রে রাসেলের জায়গা কার্যত পাকা। ছন্দে গুরবাজও। তাই জেসন রয়কে প্রথম দলে রাখতে হলে বসাতে হবে টিম সাউদিকে।

অন্যদিকে গুজরাত প্রচন্ড ব্যালেন্স একটা দল। শামি, গিল, ঋদ্ধিমান, রশিদ, সাই এবং সঙ্গে হার্দিক। তাও আবার খেলা আমেদাবাদের মাঠে। তাই কেকেআরের কাজ অনেক বেশি কঠিন রবিবার দুপুরে। কিন্তু কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত বিশ্বাস করছেন তার ছেলেরা মাথা ঠান্ডা রেখে নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারলে গুজরাতকে হারানো সম্ভব।