নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ফের যাবতীয় নথিপত্র সহ হলফনামা জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই৷)৷ উক্ত হলফনামায় জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মতো আলফানিউমেরিক নম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে৷
গত ২১ মার্চ এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এসবিআই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এদিনের এই হলফনামায়৷ সবশেষে এসবিআই আদালতকে জানিয়েছে, তাদের কাছে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যা যা তথ্য ও নথি ছিল সবই তারা আদালতে জমা দিয়েছে৷ এক্ষেত্রে, কোনও তথ্যই গোপন করা হয়নি৷
গত ১৫ ফেব্রুয়ারিই কেন্দ্রের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে (ইলেক্টোরাল বন্ডস স্কিম) ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের ডিভিশনাল বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ১৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে৷
সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ থাকবে কে কত টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে এবং কোন রাজনৈতিক দল সেখান থেকে কত টাকা পেয়েছে৷ কিন্তু, এরপরেই বন্ডের ক্রেতা ও অর্থ সংক্রান্ত তথ্য বের করার জটিলতার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রকাশের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল এসবিআই৷ সেই আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত৷ পরে ১৩ মার্চ এই সংক্রান্ত নথিপত্র আদালতের হাতে হলফনামা মারফত তুলে দেয় এসবিআই৷
Electoral Bonds: State Bank of India (SBI) Chairman files compliance affidavit in Supreme Court saying that all details of Electoral Bonds, including the alphanumeric numbers, have been disclosed to the Election Commission.
On March 21, 2024, the SBI provided /disclosed all… pic.twitter.com/6D2UC0QjDH
— ANI (@ANI) March 21, 2024
কিন্তু, তার পরেও আদালত জানায়, যে তথ্য SBI আদালতকে দিয়েছে, তাতে নির্বাচনী বন্ডের ইউনিক আলফা নিউমেরিক নম্বর প্রকাশ করা হয়নি৷ এ বিষয়ে এসবিআই-কে ফের নোটিস পাঠানো হতে পারে৷ এরপরে, আজ, ২১ মার্চ সেই বাকি থাকা নথিও আদালতে জমা দিলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷
প্রসঙ্গত, ভোটে কালো টাকার বেনো জল ঢোকা বন্ধ করার কথা সামনে রেখে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৮ সালে প্রয়াত অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৭-র অর্থ বিলের মাধ্যমে আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী এনে মোদি সরকার ২০১৮ থেকে নির্বাচনী বন্ড চালু করে। জানা যায়, এই বন্ডের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, বন্ড কিনে সংশ্লিষ্ট দলকে দিতে পারবে। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ডের কথা প্রাথমিক ভাবে ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলি এরপরে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু কে, কত টাকা দিচ্ছেন, তা বোঝা যাবে না এই পদ্ধতিতে। ব্যক্তি বা সংস্থার নাম থাকবে গোপন৷