Tag Archives: Electoral bond

Dilip Ghosh: ৬০০ কোটি! ভোটের মুখেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ! ‘ঝড়’ উঠল বলে

কলকাতা: মেদিনীপুর লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী কে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই পদ্ম-প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষের নামে দেওয়াল লিখনের ছবি পোস্ট করা হল সমাজমাধ্যমে। যা শুনে দিলীপ জানালেন, অতি উৎসাহিত হয়ে কর্মীরা এই কাজ করে ফেলেছে, ঠিক হয়নি। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। আসুন, দেখে নেওয়া যাক, তিনি কী কী বললেন…

মহুয়া মৈত্রর বাড়িতে সিবিআই

দিলীপ ঘোষ: সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। যে ধরনের তথ্য এসেছে সাংসদ নিয়ে, এটা চিন্তার বিষয় আছে। সেই জন্য তদন্ত হওয়া উচিত। বহু টাকা পয়সা বহু কোম্পানি যারা দিয়েছে, তারাও অভিযোগ করেছে, তার তথ্য এসে গেছে। সেই জন্যই তদন্ত হচ্ছে। সত্য মিথ্যা বেরোবে।

আরও পড়ুন: সদ্য যোগ বিজেপিতে, তারপরই কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! মাথায় হাত BJP নেতার

কুণাল ঘোষের বক্তব্য নিয়ে

দিলীপ ঘোষ: ৬০০ কোটি টাকা ড্রপবক্সে ফেলে যাচ্ছেন, ওরা জানতেই পারছেন না। এত লোক ব্যাকুল হইয়াছে তৃণমূলকে টাকা দেওয়ার জন্য। বাড়ির মধ্যে ৬০০ কোটি টাকা ঢুকিয়ে যাচ্ছে, সেটাও জানতে পারেন না। আর খাটের নীচে আলমারির উপরে এখানে সেখানে টাকা সেগুলো কি লোকে ঢুকিয়ে দিয়েছে নাকি? যখন টাকা নিয়েছেন আপত্তি কী আছে, টাকা তো নিতে হয় সবাইকে। আর এটা আইনিভাবে বন্ড নিয়েছে। সব পাঠিয়ে নিয়েছে সেখানে লুকোচ্ছেন কেন। সব সময় একটা চুরি করার ধান্দা। মিথ্যা বলার অভ্যাস। সত্যকে গোপন করার একটা অভ্যেস রয়েছে ওদের, তাই মিথ্যে কথা বলছেন। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সব পার্টি টাকা নিয়েছে। সরকার যে আইন করেছিল, আইনের আধারে নিয়েছে। আইন যদি ভুল হয়, ঠিক হয় সেটা কোর্ট দেখছে, তারা দেখবে। আপনারা প্রথম থেকেই কেন মিথ্যে কথা বলছেন।

বিজেপি বন্ড আনার নিয়ম দেখিয়েছিল

দিলীপ ঘোষ: আপনাকে কে টাকা দিয়েছে, সেটা বিজেপি কী করে জানবে। বিজেপিকে টাকা দিয়েছে, বিজেপি আনতে পারে। সবই আইনের মধ্যে হয়েছে। আইন ঠিক কিনা ভুল, সেটা কোর্ট বিচার করছে, কোর্ট যেটা বলবে সেটা হবে।

Electoral Bond Case: ‘আমাদের কাছে আর কিছু নেই,’ নির্বাচনী বন্ড মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল SBI

নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ফের যাবতীয় নথিপত্র সহ হলফনামা জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই৷)৷ উক্ত হলফনামায় জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মতো আলফানিউমেরিক নম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে৷

গত ২১ মার্চ এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এসবিআই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এদিনের এই হলফনামায়৷ সবশেষে এসবিআই আদালতকে জানিয়েছে, তাদের কাছে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যা যা তথ্য ও নথি ছিল সবই তারা আদালতে জমা দিয়েছে৷ এক্ষেত্রে, কোনও তথ্যই গোপন করা হয়নি৷

গত ১৫ ফেব্রুয়ারিই কেন্দ্রের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে (ইলেক্টোরাল বন্ডস স্কিম) ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের ডিভিশনাল বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ১৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে৷

আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেসকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদির সরকার,’ বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন সনিয়া-রাহুল

সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ থাকবে কে কত টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে এবং কোন রাজনৈতিক দল সেখান থেকে কত টাকা পেয়েছে৷ কিন্তু, এরপরেই বন্ডের ক্রেতা ও অর্থ সংক্রান্ত তথ্য বের করার জটিলতার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রকাশের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল এসবিআই৷ সেই আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত৷ পরে ১৩ মার্চ এই সংক্রান্ত নথিপত্র আদালতের হাতে হলফনামা মারফত তুলে দেয় এসবিআই৷

কিন্তু, তার পরেও আদালত জানায়, যে তথ্য SBI আদালতকে দিয়েছে, তাতে নির্বাচনী বন্ডের ইউনিক আলফা নিউমেরিক নম্বর প্রকাশ করা হয়নি৷ এ বিষয়ে এসবিআই-কে ফের নোটিস পাঠানো হতে পারে৷ এরপরে, আজ, ২১ মার্চ সেই বাকি থাকা নথিও আদালতে জমা দিলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷

আরও পড়ুন: ভারতের প্রত্যন্ত এই গ্রামকে বলা হয় IAS-IPS এর ফ্যাক্টরি! ৭৫টা পরিবারের মধ্যে ৫১ জনই আধিকারিক…জানেন সেই গ্রামের নাম?

প্রসঙ্গত, ভোটে কালো টাকার বেনো জল ঢোকা বন্ধ করার কথা সামনে রেখে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৮ সালে প্রয়াত অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৭-র অর্থ বিলের মাধ্যমে আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী এনে মোদি সরকার ২০১৮ থেকে নির্বাচনী বন্ড চালু করে। জানা যায়, এই বন্ডের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, বন্ড কিনে সংশ্লিষ্ট দলকে দিতে পারবে। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ডের কথা প্রাথমিক ভাবে ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলি এরপরে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু কে, কত টাকা দিচ্ছেন, তা বোঝা যাবে না এই পদ্ধতিতে। ব্যক্তি বা সংস্থার নাম থাকবে গোপন৷