Bollywood News: পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি কুণাল খেমুর! কেমন হল সোহার স্বামীর ‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’?

বরাবরই নতুন প্রজন্মের বন্ধুত্বের উপর জোর দিয়ে ছবি বানাতে দেখা যায় এক্সেল এন্টারটেনমেন্টকে। তার প্রমাণ ‘দিল চাহতা হ্যায়’। এর কয়েক বছর পর এসেছিল ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’। এবার ভক্তরা অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করে রয়েছেন ‘জি লে জারা’-র জন্য। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। এসে গিয়েছে ‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’।

কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, কুণাল খেমুর এই ডিরেক্টোরিয়াল ডেবিউ ফিল্মটি বন্ধুত্ব নিয়ে আধুনিক যুগের ছবির তালিকায় ঠিক খাপ খাওয়াতে পারেনি! বন্ধুত্বের গল্প বললেও এই ছবিতে রয়েছে মাদক পাচারকারী, অপরাধ দুনিয়া এবং চোরাকারবারও। এই সবটাই চলতে থাকবে গোয়ার প্রেক্ষাপটে।

‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’-এর মতো ছবি আগে কখনওই আসেনি। এমনকী এটাকে কোনও নির্দিষ্ট ধারাতেও ফেলা বেশ কঠিন। ছবিটিতে যেন একপ্রকার বিশৃঙ্খলা ফুটে উঠেছে। তাই মনে হচ্ছে কুণাল গল্প বলার কোনও নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করেননি। পুরো ছবি জুড়েই এহেন বিশৃঙ্খলা। সবকিছু মিলেমিশে যেন একটা জগাখিচুড়ি তৈরি হয়েছে। যা দেখে কেউ না হেসে থাকতে পারবেন না। আর এখানেই ‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’-এর সবথেকে বড় জয়।

ছোটবেলার কিছু বন্ধুকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ছবির গল্প – আয়ুশ, প্রতীক ওরফে পিঙ্কু এবং ধনুশ (বন্ধুদের কাছে তিনি ডোডো)। সেই ছোটবেলা থেকেই গোয়া ট্রিপে যাওয়ার স্বপ্ন দেখত তারা। কিন্তু বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জীবন একটা আলাদা মোড় নেয়। আয়ুশ নিউ ইয়র্কে এবং পরিবার নিয়ে পিঙ্কু কেপ টাউনে শিফট করে। সকলেই দুর্দান্ত কেরিয়ার গড়ে সেরা জীবনযাপন করতে শুরু করে। এদিকে মুম্বইয়েই আটকে পড়ে ডোডো। যেখানে সে পিৎজা ডেলিভারি বয়ের কাজ করে।

কয়েক বছর পরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফের এক হয় তিন মাথা। এরপর গোয়া ট্রিপে গিয়ে একটি রিইউনিয়নের পরিকল্পনা করে তারা। এভাবেই সূচনা হয় এক রোমাঞ্চকর ট্রিপের। সেখানেই তাদের জীবন উথালপাতাল হয়ে যায়। ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের রানটাইমে ‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’ দর্শকদের ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

প্রথম প্রজেক্টের জন্য বাহবার দাবি রাখেন কুণাল। সম্পূর্ণ মজাদার এক চিত্রনাট্য লিখেছেন। তবে এই ছবির মিউজিক অত্যন্ত দুর্বল। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ এবং ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’-র মতো ছবি বছরের পর বছর ধরে জায়গা করে রয়েছে দর্শকদের মনে। এমনকী কালজয়ী-র তকমাও হাসিল করেছে। অথচ ‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’ ছবির কোনও গানই সেভাবে মনে ছাপ ফেলতে পারে না। যাইহোক, যাঁরা বন্ধুদের সঙ্গে নির্ভেজাল সময় কাটাতে চাইছেন, কিংবা মন খুলে হাসতে চাইছেন, তাঁরা গিয়ে দেখে আসতেই পারেন ‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’।