ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এখনও পর্যন্ত তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি যাতে বাংলার গরীব মানুষকে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া যায়। সেই পথ খুঁজছি।’’ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় অমৃতা রায়কে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, ‘‘নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই বাজেয়াপ্ত হওয়া ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হব। কেউ শিক্ষক নিয়োগের জন্য টাকা দিয়েছেন আবার কেউ বা সরকারি চাকরির জন্য, বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই বিপুল পরিমাণ টাকা গরিব মানুষদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পথ খোঁজা হচ্ছে।’’
বলা বাহুল্য, এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা বারবারই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে শাসক দল তৃণমূলকে নিশানা করে হামেশাই সুর চড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতা। আর এবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগর রাজ পরিবারের সদস্য রাজমাতা অমৃতা রায়ের সঙ্গে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মোবাইল ফোনে কথোপকথনেও মোদির মুখে উঠে এল দুর্নীতির প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন– এই ৬ গাছ ভুলেও নিজের বাগানে লাগাবেন না, সাপ টেনে আনতে এদের জুড়ি মেলা ভার!
এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি । নরেন্দ্র মোদি প্রান্তিক জনগণের কথা চিন্তা করেন । মানুষের যে টাকা লুঠ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা সেটা প্রধানমন্ত্রী ফেরত দেওয়ার কথা যখন রাজ্যের মানুষকে বলেছেন তখন তিনি কথা রাখবেনই। এটা মোদির গ্যারান্টি।’’