*আমাদের দেশের শহরে, গ্রামাঞ্চলে বসন্তকালে একটি ফুল ফোটে। এই ফুল রূপে যতটা মোহনীয়, এর গাছও ততটাই সমান উপকারী। আয়ুর্বেদে, সমগ্র পলাশ গাছকে ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ বলা হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে ব্রহ্ম গাছ, এতে অনেক ধরনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান পাওয়া যায়। সংগৃহীত ছবি।*শুধু তাই নয়, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। পলাশ ফুলের পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগালে অনেক ধরনের সংক্রমণ সেরে যায়। সংগৃহীত ছবি।*শুধু তাই নয়, দোলের সময় পলাশ ফুল থেকে তৈরি প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করলে ত্বক সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় না। সংগৃহীত ছবি।*শুধুমাত্র জলে ফুটিয়ে তৈরি করা রঙঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. অনুরাগ আহিরওয়ার লোকাল নিউজ 18-কে জানিয়েছেন যে, পলাশ একটি আয়ুর্বেদিক গাছ, এর ফুল, ফল, শিকড় এমনকি ছালও উপকারী। সংগৃহীত ছবি।*আগেকার যুগে অনেক চিকিৎসক এর ফুল সেদ্ধ করে প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করতেন, এর লেপ শুষ্ক ত্বকে উজ্জ্বলতাও আনে। এটি ব্যবহারে কোনও রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ফুলের গুঁড়ো প্রাকৃতিক রঙ হিসেবে দোলের সময় ব্যবহার করা যায়। সংগৃহীত ছবি।*ঘরের রূপসজ্জার রঙঃ পলাশ গাছের শিকড় অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আঁশযুক্ত পদার্থ। এই কারণে আগেকার দিনের মানুষরা এর শিকড় থেকে ব্রাশ তৈরি করে ঘরে আলপনা আঁকার কাজে ব্যবহার করতেন। সংগৃহীত ছবি।*পলাশের শিকড়ে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল নানা উপাদান পাওয়া যায়, যার কারণে প্রাচীন কালের মানুষরা রান্নার উনুন সাদা রঙ করার জন্য এর শিকড় ব্যবহার করতেন। এতে বাড়িতে ছোট ছোট পোকামাকড় প্রবেশ করতে পারত না। সংগৃহীত ছবি।*কিডনি, ডায়াবেটিসের জন্য কার্যকরঃ ডা. অনুরাগ আহিরওয়ার লোকাল নিউজ 18-কে জানান, পলাশ গাছের ছাল ছাড়াও এর ফুল ও ফল কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সংগৃহীত ছবি।*মাত্র কয়েকজন নির্বাচিত চিকিৎসকই সঠিক ব্যবহার করতে পারেন। এই গাছটি আরও নানা ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও সমান উপকারী। সংগৃহীত ছবি।
