নয়াদিল্লিঃ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? মানুষকে এআই চালানো শেখাতে হবে। তবেই এর অপব্যবহার কমবে। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে তিনি বললেন, “মানুষ প্রশিক্ষিত না হলে এআই-এর অপব্যবহার হবে”।
বিল গেটসের সঙ্গে এআই, ডিজিটাল বিপ্লব থেকে শুরু করে জি২০, প্রযুক্তি- সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের মত জানান। মোদি বলেন, “জি২০-র আগে আমাদের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। শীর্ষ সম্মেলনের কার্যক্রম কীভাবে বিভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছিল দেখেছেন। তবে আমার বিশ্বাস, জি২০-কে মূলধারায় আনা সম্ভব হয়েছে। এর উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে আমরা একাত্ম হতে পেরেছি। আপনার অভিজ্ঞতাও একই রকম বলে আমার বিশ্বাস”।
আরও পড়ুনঃ হালকা মেঘের চাদর! আজ ফের নামবে হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি? বইবে ঝড়? এল আবহাওয়ার আপডেট
উত্তরে গেটস বলেন, “জি২০-র আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতকে দেখাটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। ডিজিটাল উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সত্যিই ভাল আলোচনা হয়েছে। ভারত যেভাবে সাফল্য অর্জন করছে তাতে আমাদের প্রতিষ্ঠান আশাবাদী। অন্যান্য দেশেও এই সাফল্যের প্রতিফলন দেখতে চাই আমরা”। ভারতের প্রশংসা করে বিল গেটস বলেন দেশে ‘ডিজিটাল সরকার” রয়েছে। ভারত কেবল প্রযুক্তিকে গ্রহ্ন করেছে তাই নয়, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারী ক্ষমতায়নে কেন্দ্র সরকারের একাধিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। নমো ড্রোন দিদি প্রোগ্রামের কথা বিস্তারিতভাবে বিল গেটসকে বলেন। মহিলাদের কীভাবে ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার হাত ধরে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা। এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ভারতের অর্থনীতি। তাঁর ব্যাখ্যা করেন। মোদি বলেন, “বিশ্বে ডিজিটাল বিভাজনের কথা শুনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমার দেশে এটা হতে দেব না। ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ভারতীয় মহিলারা সবচেয়ে এগিয়ে। আমি ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছি। কয়েকজন মহিলা বলেছেন, সাইকেল চালাতে পারতাম না। এখন পাইলট, ড্রোন ওড়াতে পারি। মানসিকতাটাই বদলে গিয়েছে”।
এরপরই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কথা ওঠে। মোদি এআই-কে সঠিক পথে চালনা করার জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণের উপর জোর দেন। পাশাপাশি এআই উৎপাদিত কনটেন্টে ওয়াটারমার্ক দেওয়ার প্রস্তাবও রাখেন।