Tag Archives: Narendra Modi

নরেন্দ্র মোদি: জীবন, সাফল্য, কেরিয়ার এক নজরে!

পুরো নাম

নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।

জন্ম

১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাতের মেহসানার ভাদনগরে জন্ম।

পরিবার

স্ত্রী – যশোদাবেন।

বাবা – দামোদরদাস মূলচন্দ মোদি।

মা – শ্রীমতি হীরাবেন।

দলের নাম

ভারতীয় জনতা পার্টি।

নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিই যিনি স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করা প্রথম প্রধানমন্ত্রী তিনিই। লোকসভায় বারাণসী কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। মোদিকে এই মুহূর্তে ভারতীয় জনতা দলের সবচেয়ে বিশিষ্ট এবং প্রধান নেতা বললে অত্যুক্তি হয় না। দলের প্রধান কৌশলী হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর আগে টানা চার বার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন মোদি।

ব্যক্তিগত জীবন

ভাদনগরের এক মুদি পরিবারে জন্ম মোদীর। মা-বাবার ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। ছোট থেকেই দারিদ্র্য ছিল নিত্যসঙ্গী। দু’বেলা খাবার জোটাতে কিশোর বয়স থেকেই শুরু হয় সংগ্রাম। ভাইয়ের সঙ্গে আহমেদাবাদের একটি রেল স্টেশনে চা বিক্রি করতেন।

পড়াশোনা

তবে এত প্রতিকূলতা স্বত্বেও পড়াশোনা ছাড়েননি। প্রাথমিক শিক্ষা ভাদনগরের স্কুলেই। এরপর গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্কুলের এক শিক্ষক বলেছিলেন। ছাত্র হিসেবে মোদি খুবই সাধারণ, কিন্তু অসাধারণ তার্কিক। কলেজে পড়াকালীনই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৭ বছর বয়সেই গৃহত্যাগ করেন মোদি। পরবর্তী ২ বছর গোটা দেশ ভ্রমণ করেন।

পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৯০-এর দশকে নয়াদিল্লিতে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন মোদি। সেই সময় আমেরিকায় জনসংযোগ এবং ইমেজ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তিন মাসের একটি কোর্স করেছিলেন।

মোদির ভাইয়েরা

তাঁর এক ভাই, সোমভাই অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বর্তমানে আহমেদাবাদে একটি বৃদ্ধাশ্রম চালান। আহমেদাবাদে মোদির আরেক ভাই প্রহ্লাদের ন্যায্য মূল্যের দোকান রয়েছে। তৃতীয় ভাই পঙ্কজ গান্ধিনগরের তথ্য বিভাগে কর্মরত।

সেবাই ধর্ম

মোদির কাছে সেবাই ধর্ম। ১৯৬৫ সালের ভারত পাক যুদ্ধের সময় রেল স্টেশনে সৈন্যদের চা খাওয়াতেন মোদি। ১৯৬৭ সালের গুজরাত বন্যার সময়েও আর্তের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুজরাত স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের স্টাফ ক্যান্টিনে কাজ শুরু করেছেন মোদি। সেখান থেকেই তিনি আরএসএস-এর একজন পূর্ণ-সময়ের প্রবক্তা এবং প্রচারক হয়ে ওঠেন। মোদি পরে নাগপুরে আরএসএস ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেন। সংঘ পরিবারে যে কোনও অফিসিয়াল পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য যে কোনও আরএসএস সদস্যের প্রশিক্ষণ কোর্স করা আবশ্যক। এরপর নরেন্দ্র মোদিকে ছাত্র শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ নামে বেশি পরিচিত। জরুরি অবস্থার সময় তাঁর কাজ সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের মুগ্ধ করেছিল। এর ফলস্বরূপ, তাঁকে গুজরাতে নবগঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির আঞ্চলিক সংগঠক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

সংগঠক

অল্প বয়স থেকেই মোদি ছিলেন দক্ষ সংগঠক। জরুরি অবস্থার সময় গোপনে আরএসএস-এর প্যামফ্লেট প্রচার করতেন। জনসংঘের দুই নেতা, বসন্ত গজেন্দ্রগড়কর এবং নাথালাল জগদার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তাঁরাই পরে গুজরাতে বিজেপির রাজ্য ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন।

রাজনৈতিক জীবন

২০০১ সালে প্রথমবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন মোদি। এরপর পরপর চারবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছিল তাঁর দখলে। ২০১৪ সালে প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মোদি। ২০১৯ সালে ফের বিপুল ভোটে জেতে বিজেপি। পাঁচ বছরের জন্য আবার প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন মোদি।

Modi Mamata Rally: ফের মোদি-মমতা মোলাকাত? ভোটের প্রচারে বড় চমক! রবিবার একই দিনে, একই জেলায় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: ফের মোদি-মমতা একই দিনে একই জেলায়। কোচবিহার,বর্ধমানের পর একই দিনে এবার সভা মোদি-মমতার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফের আসছেন রাজ্যে। চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটের মরশুমে এবার বাংলায় একই দিনে চারটে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আবার রবিবার ১২মে সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। একই জেলায় মোদি মমতার সভা।

আগামী রবিবার হাওড়াতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া লোকসভার জন্য বিকেল ৪টে নাগাদ সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উলুবেড়িয়ার আমতায় সভা করবেন রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার বিকেল ৪টে থেকে প্রধানমন্ত্রীর ও সভা হাওড়া জেলায়।

আরও পড়ুন: ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি…! ঘণ্টা দুয়েকেই দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় কালবৈশাখী সতর্কতা! লাল-কমলা-হলুদ অ্যালার্ট জেলায় জেলায়! কবে থামবে দুর্যোগ? জানিয়ে দিল আলিপুর

প্রসঙ্গত, আগামী ১২ মে একদিনেই- পরপর মোট চারটে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। ১১ তারিখ কলকাতায় এলেও কোনও কর্মসূচি রাখা হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর। ব্যারাকপুর, হুগলি, আরামবাগ ও হাওড়া এই চার জায়গায় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। ১২ তারিখ ব্যারাকপুর দিয়েই সভা শুরু করবেন নরেন্দ্র মোদি। অর্জুন সিং এর সমর্থনে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যারাকপুরের ভাটপাড়ায় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। পরে হুগলির চুঁচুড়া ও আরামবাগের পুরশুরাতেও সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

পঞ্চম দফায় ভোট হবে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে ৷ এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ডাঃ রথীন চক্রবর্তী ৷ তাঁর সমর্থনে হাওড়ায় সভা করবেন মোদি। উল্লেখ্য, নির্বাচনকে সামনে রেখে এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১২টি সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Modi Rally West Bengal: চার-চারটি সভা এক দিনে! রাজ্যে ফের আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জানুন কোথায় কোথায় সভা

কলকাতা: ভোট বড় বালাই। হেভিওয়েট থেকে ছোট-বড় নেতা, ভোটের মুখে দম ফেলার উপায় নেই কারও। বাদ যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রীও। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম ভোটের মধ্যে ঝোড়ো সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই কয়েক দফা পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে গিয়েছেন তিনি। এবার ফের চতুর্থ দফার ভোটের আগে রাজ্যে মোদি।

আগামী ১২ মে একদিনেই- পরপর মোট চারটে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। ১১ তারিখ কলকাতায় এলেও কোনও কর্মসূচি রাখা হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর। ব্যারাকপুর, হুগলি, আরামবাগ ও হাওড়া এই চার জায়গায় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: প্যারাসিটামল ট্যাবলেট কতটা খাবেন…? ‘ওজন’ আর ‘বয়স’ অনুযায়ী জানুন ‘ডোজ’! দেখে নিন চিকিৎসকদের দেওয়া তালিকা

১২ তারিখ ব্যারাকপুর দিয়েই সভা শুরু করবেন নরেন্দ্র মোদি। অর্জুন সিং এর সমর্থনে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যারাকপুরের ভাটপাড়ায় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। পরে হুগলির চুঁচুড়া ও আরামবাগের পুরশুরাতেও সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত অশান্তির আবহেই লাফিয়ে বাড়ল ভোটের হার, দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৪৯.২৭%

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাজ্যে তিনটে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফের সাত দিনের মধ্যে ফের বাংলায় আসছেন মোদি। এবার পরপর চারটি জনসভা রয়েছে তাঁর। সাত দফায় এবার রাজ্যে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পঞ্চম দফায় ভোট হবে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে ৷ এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ডাঃ রথীন চক্রবর্তী ৷ তাঁর সমর্থনে হাওড়ায় সভা করবেন মোদি। উল্লেখ্য, নির্বাচনকে সামনে রেখে এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১২টি সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Lok Sabha Elections 2024: ‘গণতন্ত্রকে উৎসবের মতো পালন করুন,’ সাত সকালে অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়েই গান্ধিনগরে ভোট দিলেন মোদি

নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ১০ রাজ্য এবং ১ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ৭ মে, সোমবার৷ এদিন সকাল সকালই গুজরাতের আহমেদাবাদের গান্ধিনগরের নিশান হাযার সেকেন্ডারি স্কুলে একসঙ্গে গিয়ে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷

এদিন সকাল ৭টা বেজে ৪৩ মিনিটে ভোট দান করেন মোদি৷ ভোটদানের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন তিনি৷ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্বে দেশবাসীক রেকর্ড সংখ্যক ভোটদানের আহ্বান জানান মোদি৷ লেখেন, ‘আজ যাঁরা ভোট দেবেন, তাঁদের সবাইকে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি৷ তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অবশ্যই নির্বাচনকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে৷’

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে শুরু তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ, আহমেদাবাদে ভোট দিলেন মোদি-শাহ

এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ভোট দেওয়ার জন্য গুজরাতের রাজভবন থেকে বের হন মোদি৷ তারপরে রওনা দেন গান্ধিনগরের বুথের উদ্দেশে৷ বুথের বেশ কিছুটা দূরেই থেমে যায় তাঁর কনভয়৷ সেখান থেকে খালি পায়ে হেঁটেই বুথের ভিতরে প্রবেশ করেন মোদি৷

সেখানে আগে থেকেই পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তাঁর ভোটদানও হয়ে গিয়েছিল৷ প্রধানমন্ত্রী পৌঁছনোর পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই দু’জনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে যান, এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে ভোট দেন৷ ভোট দিয়ে বেরিয়েও জনসাধারণের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায় তাঁকে৷

ভোট দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে কথা বলার সময় মোদি বলেন, ‘‘আহমেদাবাদে ভোট দেওয়ার পর মিডিয়ার উদ্দেশে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ আজ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট। আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তাঁরা যেন বেশি সংখ্যায় ভোট দেন। সকলে মিলে গণতন্ত্রকে উৎসবের ন্যায় পালন করুন৷ আমাদের দেশে ‘দান’-এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং সেই চেতনাকে সঙ্গী করেই যথাসম্ভব বেশি ভোটদানের আহ্বান রাখছি দেশবাসীর কাছে। ৪ দফা ভোট এখনও বাকি। গুজরাতের একজন ভোটার হিসেবে, এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমি নিয়মিত ভোট দিযে আসছি এবং অমিত ভাই এখান থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন… ’’

আরও পড়ুন: ‘৫০%-এর ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেব..,’ মোদির জবাবে সংরক্ষণ নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি রাহুলের, মধ্যপ্রদেশ থেকে দিলেন উত্তর

ইতিমধ্যেই গুজরাতের সুরাত আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি৷ আজ, মঙ্গলবার দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-তে দু’টি লোকসভা আসনে ভোট হচ্ছে। এগুলি ছাড়াও আসামের ৪টি, বিহারের ৫টি, ছত্তিশগড়ে ৭টি, মধ্যপ্রদেশের ৮টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তরপ্রদেশের ১০টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৪টি আসনে ভোট হবে।

Narendra Modi: ‘নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি!’ মিম ভিডিও দেখে কী লিখলেন মোদি?

নয়াদিল্লি: তাঁকে নিয়ে তৈরি মিম-এর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রী নাচ করছেন, এমন একটি ভিডিও তৈরি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ নিজের সেই নাচের ভিডিও সোমবার নিজেই শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে দাবি করেন, এই ভিডিও তাঁকে আনন্দ দিয়েছে৷

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আপনাদের সবার মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে উপভোগ করেছি৷ নির্বাচনের ব্যস্ততার মধ্যেও এমন সৃষ্টিশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়৷’

আরও পড়ুন: খলিস্তানি জঙ্গিদের থেকে বিপুল অনুদান নেওয়ার অভিযোগ, কেজরির বিরুদ্ধে এবার এনআইএ তদন্ত?

যদিও মোদি যে ভিডিওটি শেয়ার করেন, সেটিও তাঁকে খোঁচা দিয়েই পোস্ট করা হয়৷ কৃষ্ণা নামের একজনের এক্স হ্যান্ডেল থেকে করা ওই পোস্টে ভিডিও-র সঙ্গে লেখা হয়, ‘এই ভিডিওটি পোস্ট করছি কারণ আমি জানি ‘এই একনায়ক’ আমাকে এর জন্য গ্রেফতার করাবেন না৷’

তবে মোদি নিজের মিম নিয়ে এই প্রশংসাসূচক পোস্ট নিয়েও বিজেপি তৃণমূল রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে৷ কারণ এই একই ধরনের একটি ভিডিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷ সেই ভিডিও কারা তৈরি করেছেন, তা জানতে চেয়ে নিজেদের সমাজমাধ্যমের পেজে পাল্টা পোস্ট করেছে কলকাতা পুলিশ৷ নির্দেশ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ যদিও কলকাতা পুলিশের এই মনোভাবের সমালোচনা করেছে বিজেপি৷

ভোটের মরশুমে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে এমন মিম অথবা ব্যঙ্গ চিত্র অবশ্য নতুন কিছু নয়৷ কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ আদৌ ঠিক কি না, তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে৷ এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের পোস্ট নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷

Mithun Chakraborty on Narendra Modi: মেসেজ করলে কতক্ষণ পরে জবাব দেন মোদি? ফাঁস করলেন মিঠুন

নয়াদিল্লি: হতে পারেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু কোনও প্রয়োজনে তিনি মেসেজ করলেই দ্রুত তার জবাব দেন নরেন্দ্র মোদি৷ এমনই দাবি করলেন অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী৷

মিঠুন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আমার পাঠানো মেসেজের জবাব দিতে সর্বোচ্চ ২৩ মিনিট নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মিঠুনকে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ স্মৃতিচারণা করে মিঠুন জানিয়েছেন, কলকাতায় বিজেপির একটি সভায় প্রথম সাক্ষাতের পরই প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে একান্তে দশ মিনিট কথা বলেছিলেন৷

মিঠুনের কথায়, ‘ওই সভা শেষ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, মিঠুন দা, আমি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে চাই৷ ওই দশ মিনিটের আলাপচারিতায় আমি সম্মোহিত হয়ে গিয়েছিলাম৷ শুধুমাত্র তিনি প্রধানমন্ত্রী এই কারণে নয়, তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম৷ সেই প্রভাব আজও আমার মধ্যে রয়েছে৷’

আরও পড়ুন: শুরু ঝোড়ো হাওয়া, আকাশে কালো মেঘ! আজই বৃষ্টি নামবে কলকাতায়? জানাল হাওয়া অফিস

নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে মিঠুন আরও বলেন, ‘উনি যথেষ্ট ব্যস্ত৷ ফলে তিনি দু-তিন দিন বাদে মেসেজের জবাব দেবেন, এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু উনি ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই আমার মেসেজের জবাব দেন৷ একবার শুধু দেখেছিলাম, ২৩ মিনিট সময় লেগেছিল৷ আর একবার উনি জার্মানিতে থাকাকালীন আমি মেসেজ করেছিলাম৷ অন্য টাইম জোনে থাকলেও উনি দ্রুত আমার মেসেজের জবাব দিয়ে জানান, পরের দিন কথা বলবেন৷’

প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে মিঠুন আরও বলেন, ‘উনি এমন একজন যিনি কোনও সময় বলেন না দেখছি কী করা যায়৷ বরং উনি বলেন, আসুন আলোচনা করে দেখা যাক?’

Mamata Banerjee: ‘কে দিচ্ছে কেউ জানে না’, বিজেপির কাছে ‘নাম’ জানতে চাইলেন মমতা! ভোটের মাঝেই নতুন বড় কাণ্ড

লাভপুর: লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা আগামী মঙ্গলবার। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট চলাকালীন সংবাদপত্রে প্রচারকের নাম না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, টাকার উৎস লোকাতেই বিজ্ঞাপনে প্রচারকের নাম লিখছে না বিজেপি।

লাভপুরে নির্বাচনী প্রচার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘এখন রোজ কাগজে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আর ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। বিজ্ঞাপনে প্রচারকদের নাম নেই। এটা বেআইনি। আমরা কমিশনকে বলব। আমরা বিজ্ঞাপন করতে চাইলে আপনারা করতে দিতেন না। এটা বিজ্ঞাপন হতে পারে? বলছে তৃণমূল দুর্নীতির আঁতুরঘর। মোদিবাবু কত টাকার ফরেন ডিল করেছেন। ডিফেন্স ডিল করেছেন। একটা দেশের কাছে প্রতিরক্ষা বিক্রি করেছেন। দেশের নাম বলছি না। এখন আর কাশীপুর গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি অর্ডার পায় না। পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? সত্যি কথা বলার সাহস নেই। বুকের পাটা নেই।’

আরও পড়ুন: গরমে শেষপাতে রোজ টক দই খাচ্ছেন? শরীরে এর ফলে কী হয় জানেন? চমকে যাবেন জানলে

মমতার চ্যালেঞ্জ, ‘মোদির দল ক্ষমতা বা হিম্মত থাকলে পিসি-ভাইপো বলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়ে বলবে। তোরা ডাকাত, কয়লা মাফিয়া। তোরা কয়লা, গরু থেকে টাকা খাস। ওটা আমাদের বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা টাকা খায়। মিথ্যা কথা বলার জন্য জিভ মোটা হয়ে যায়। আমি অনেক বছর এমপি ছিলাম। আমি সাংসদ থেকে পেনশন পেতে পারি। আমি সব ছেড়ে দিয়েছি। আমি বই লিখে যা টাকা পাই তা দিয়ে চলে আমার। আপনি তো কয়লা খনি থেকে দেশ সব বেচে দিচ্ছেন। আপনার বন্ধুদের কাছে। জিজ্ঞেস করবেন তাদের থেকে আমরা ইলেক্টোরাল বন্ড টাকা নিয়েছি কিনা? আমাকে চোর বলছেন? জিভ ছিঁড়ে পড়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

ফের লোকসভা নির্বাচনের সময় আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে মমতার দাবি, ‘যে কেউ আদালতে মামলা করতে পারে। আর আদালতে বিজেপির কেউ না কেউ বসে আছে। প্রমাণ হল না তার আগে চোর বলে দিল। কেস প্রমাণিত না হলে আইনের চোখে অপরাধী নয়। কেষ্টকে ধরে রেখেছে ভোটের জন্য। ভোট হয়ে গেলে ছেড়ে দেবে। ক’দিন আগে চাঁদুর বাড়িতে গিয়েছিল। চাঁদুকে ডেকে বসিয়ে রেখেছিল। ওকে বলেছিল সন্ধ্যায় পলিটিক্যাল ফোন আসবে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বার্তা। আমার থেকে ভাল বিজেপিকে কেউ চেনে না। এটা বাংলার ভোট নয়, আমাকে চোর বলল আর আমি চোর হয়ে গেলাম। এটা মোদির ভোট, তাঁকে জবাব দিতে হবে তিনি চোর না ডাকাত।’

আবীর ঘোষাল

SSC: প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা, SSC নিয়ে বড় পদক্ষেপ রাজ্য বিজেপির! বেছে নেওয়া হল ৬ জনকে

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা মতো এবার ‘যোগ্য’ এসএসসি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াতে আইনি কমিটি গঠন করল বিজেপি। এসএসসি যোগ্য চাকরিহারাদের আইনি সাহায্য দেওয়ার জন্যই এই কমিটি গড়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। ৬ আইনজীবীকে নিয়ে এই লিগ্যাল অ্যাসিস্টান্স কমিটি গঠন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পরপরই। যে কোনও যোগ্য চাকরিহারাদের আইনি সহায়তা দেবে এই কমিটি।

এই কমিটিতে আছেন আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়, আইনজীবী সহশ্রাংশু ভট্টাচার্য, আইনজীবী সুকান্ত চক্রবর্তী, আইনজীবী তিলক মিত্র, আইনজীবী কৌস্তভ দাস ও আইনজীবী রাহুল সরকার।

আরও পড়ুন: কুণালের বিদ্রোহে বিপদ, সমঝোতার পথে তৃণমূল! বৈঠক শেষে গান গাইলেন তৃণমূল নেতা

প্রসঙ্গত, দিন দুই আগেই পূর্ব বর্ধমানের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দেন, ‘‘শিক্ষক দুর্নীতিতে অনেক নির্দোষও আছেন। তার মধ্যে যাঁরা চাকরির যোগ্য। আমরা নেক-ইমানদার লোকদের কীভাবে সাহায্য করতে পারি তার জন্য একটি লিগাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম তৈরি করব।’’

মোদির কথায়, ‘‘বিজেপি ইমানদারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকবে। ইমানদার শিক্ষকদের চাকরি যাতে পায়, তার জন্য লড়াই করবে বিজেপি। যাঁরা ইমানদার তাঁদের ন্যায় দিতে রাজ্য বিজেপি লড়বে। এটা মোদির গ্যারান্টি৷’’ এরপরই আইনজীবীদের নিয়ে কমিটি গঠন করল রাজ্য বিজেপি।

Narendra Modi lok sabha rally: প্রণামের পাল্টা এ কী করলেন প্রধানমন্ত্রী! আপ্লুত মহিলা

পূর্ব বর্ধমান: হাতের কাছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে তাঁকে সামনে পেয়ে প্রণাম করতে গেলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা। তাঁর অন্য পরিচয় তিনি বিজেপির জেলা মুখপাত্র অনিন্দিতা পাল। নরেন্দ্র মোদি আঙুল তুলে পা ছুঁতে নিষেধ করলেন। একটু ঝুঁকে প্রণাম সাড়লেন অনিন্দিতা। এবার অবাক হওয়ার পালা। প্রত্যুত্তরে তাঁকে পাঁচবার প্রণাম করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় আপ্লুত অনিন্দিতা। বললেন, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে এক মঞ্চে থাকাটাই বিরাট পাওনা। তার পরের প্রণামের ঘটনায় আমি আপ্লুত। উনি আসলে মাতৃশক্তিকেই সম্মান জানালেন।

আরও পড়ুন: ধোনির খেলা হলেই দেখা যায় তাকে, চেন্নাইয়ের গ্যালারিতে উষ্ণতা ছড়ান, কে এই তরুণী?  

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানে নির্বাচনী জনসভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেলা ১১টায় কলকাতা থেকে বর্ধমানে আসেন তিনি। তিনটি হেলিকপ্টার একসঙ্গে নামে। তার একটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে সভা করেন তিনি। দুই প্রার্থীর উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। প্রায় ৪৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পর কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে উড়ে যায় তাঁর হেলিকপ্টার। তার পর বোলপুরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: আইপিএলের মাঝেই দুঃসংবাদ, টেস্টের সিংহাসন হাতছাড়া ভারতের, কোথায় নামলেন রোহিতেরা? 

এই জনসভায় তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম, এদের সবচেয়ে বড় নেতা নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। সেটাই হলো। পালিয়ে রাজস্থানে গেলেন, সেখান থেকে রাজ্যসভায় ঢুকলেন। আমি আগেই বলেছিলাম, শাহজাদা ওয়ান ডে হারবে। হারের ভয়েই ওয়ানডে ভোট শেষ হতেই দ্বিতীয় আসনে প্রার্থী হয়ে গেলেন। তার চেলারা বলেছিলেন, আমেঠি থেকে লড়বেন। কিন্তু হারের ভয়ে আমেঠিতে দাঁড়ালেনই না। পালিয়ে রায়বেরেলিতে গিয়ে জেতার রাস্তা খুঁজছেন। এরা ঘুরে ঘুরে সবাইকে বলে ভয় পেয়ো না। আমিও এদেরকে বলছি, ভয় পেয়ো না পালিয়ে যেও না।” সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেদেরও কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Narendra Modi: ‘১৫ আসনও পাবে না তৃণমূল, কী দাবি মোদির?’ দেখুন ভিডিও

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৫টি আসনও পাবে না তৃণমূল৷ এ দিন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁর আরও দাবি, গোটা দেশে ৫০ আসন পেরোবে না কংগ্রেসও৷ কংগ্রেস, তৃণমূলকে কটাক্ষ করে মোদির প্রশ্ন, এর পরেও বিরোধীরা সরকার গড়ার দাবি করছে কী করে? কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে সভা করতে এসে মোদি বলেন, এটা দেশের ভোট, ভারতের ভোট৷ সেখানে সরকার কে বানাবে? তৃণমূল ১৫টি আসনও জিততে পারবে না৷ সরকার করতে পারবে? কংগ্রেস যত চেষ্টাই করুক, হাফ সেঞ্চুরি পার করবে না গোটা দেশে ৫০টি আসন পাবে কি না, তা নিয়েই চিন্তায়৷ ৫০টি আসন না পেলে সরকার গড়তে পারবে?

Mamata Banerjee to Narendra Modi: ‘কোথায় ছিলেন, ২৬ হাজার চাকরি তো আপনার দল খেয়েছে!’ মোদি আশ্বাস দিতেই জবাব মমতার

রায়না: বর্ধমানে সভা করতে এসে চাকরি হারানো যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পূর্ব বর্ধমানেরই রায়নার সভা থেকে তৃণমূলনেত্রীর জবাব, ‘কোথায় ছিলেন মোদিবাবু? শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপনার কোনও প্রয়োজন নেই৷’

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এখন বঙ্গ রাজনীতিতে টানাপোড়েন তুঙ্গে৷ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চাকরি হারানো সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই পাশে থাকবে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল৷ এ দিন বর্ধমানের সভা থেকে চাকরি হারানো যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদি বলেন, আদালতের নির্দেশে যে যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পাশে থেকে আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি৷ এর জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে তিনি লিগল সেল তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন: বাংলায় কত আসন পাবে তৃণমূল? ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মোদি, খোঁচা বাম-কংগ্রেসকেও

প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই রায়নার সভা থেকে মমতা বলেন, ‘চাকরি খেতে দেব না। আমরা আদালতে লড়ছি। কোথায় ছিলেন মোদী বাবু? ২৬ হাজার চাকরি তো আপনার দল খেয়েছে৷ সিপিএমকে টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়েছে আপনার দল৷ লজ্জা করে না? আপনার কোনও প্রয়োজন নেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের৷ এরা সাপেও চুমু খায়, ব্যাঙেও চুমু খায়৷ চাকরিও খাবে, আবার বলবে পাশে আছি৷ ত্রিপুরায় সিপিএম আমলে দশ হাজার শিক্ষকরে চাকরি বাতিল হয়েছিল৷ বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে চাকরি ফিরিয়ে দেব, দিয়েছেন? ভোট এলে মনে পড়ে৷ মানুষের দগ্ধ জায়গাটায় খোঁচা দেন৷’

এ দিন দুর্নীতি ইস্যুতেও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি৷ পাল্টা দুর্নীতি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘দুর্নীতি কী করে করতে হয়? তার মাস্টারমাইন্ড বিজেপি-র ওয়াশিং মেশিন। মোদি বাবু ভালই প্ল্যান করেছেন। আপনার দাম আপনি নিজে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। আর একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের টাকা দিচ্ছেন না। এবারে জিতলে খালি উনি থাকবেন। দেশও থাকবেনা আর সংবিধান থাকবে না। নিজের অধিকার চাইলে মধু-বিধুকে ভোট দেবেন না। লুটেরা, ডাকাত, চোরদের ক্ষমা করবেন না। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, আর চাকরি কেড়ে নিচ্ছে।’