মিষ্টি খাওয়ার আগে সাবধান! অজান্তেই শরীরে কী ঢুকছে জানেন? কী বলছেন গবেষক! সতর্ক না হলেই...

Health Tips: মিষ্টি খাওয়ার আগে সাবধান! অজান্তেই শরীরে কী ঢুকছে জানেন? কী বলছেন গবেষক! সতর্ক না হলেই…

কলকাতা: প্রায়শই মিষ্টির দোকানে দেখা যায় সারারাত ‘সৈন্য’রা মিষ্টি পাহারা দিয়ে ভোর রাতে দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। সেই ঘুমানোটা কোথাও মিষ্টির ওপর,কোথাও বা মিষ্টির রসে।সকাল বেলা দোকানের মালিক এসে ভীষণ ক্ষেপে যায়।ঘুমন্ত বা মৃত সেই ‘সৈন্য’দের দেহগুলো লুকিয়ে অন্যত্র ফেলে দেয়।আর সেই মিষ্টি সাধারণ ক্রেতাদের অনায়াসেই বিক্রি করে দেয়। মিষ্টির উপকারিতা পেতে গিয়ে অজান্তেই নানা রোগের শিকার হন মানুষরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রসগোল্লার মতো মিষ্টি খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড ক্ষরণ বেড়ে যায়। যা হজম শক্তি বাড়াতে প্রচন্ড সাহায্য করে।মিষ্টি খেলে প্রথমত শরীরের ঝিমুনি ভাব কেটে যায়। যার ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। যা মানুষের মানসিক সুস্থতা এবং মনোবল উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে সবসময় মিষ্টি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। অধিক পরিমাণে মিষ্টি খেলে,শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

গবেষকেরা বলছেন, মিষ্টি খেলে মস্তিষ্কে ‘সেরোটেনিন’ নামে এক প্রকারের হরমোনের ক্ষরণ হয়,যা মানুষের মেজাজ এবং মন ভাল রাখতে সাহায্য করে।অন্যদিকে মিষ্টি যেখানে প্রস্তুত হয় সেই জায়গাগুলো বরাবরই প্রশ্নের মুখে।এছাড়াও প্রচুর দোকান দেখা যায়,যেখানে রসগোল্লা থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন মিষ্টি রাতের বেলা খোলা রেখে দেয় দোকানদারেরা। কারণ,খোলা হাওয়াতে থাকলে নাকি মিষ্টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।সেই সুবাদে মিষ্টির ওপর মশা মাছির মত পোকামাকড় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিশেষ করে রসে ভেজানো মিষ্টিতে এই ধরনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়।

এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গবেষক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান. ‘মিষ্টির কাছাকাছি মশা, মাছি থাকে। যার ফলে জায়গাটিতে মাইক্রো-অর্গাজম থাকে।যার ফলে মাইক্রো অর্গাজম গুলো ওই পতঙ্গের পায়ের মাধ্যমে মিষ্টিতে চলে আসে।যার ফলে কলিফর্ম, ইকুলাই জাতীয় বিভিন্ন ছত্রাক মিষ্টির ওপর মিশে যায়।যা আমাদের খাদ্যের বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাম-খেয়ালিপনা মিষ্টির দোকানদারদের বন্ধ করতে হবে। নইলে মিষ্টি খেয়ে মানুষের রোগ ব্যাধি হতেই থাকবে।’