মহিলা পুলিশ অফিসার হয়ে স্ক্যামারদের পর্দাফাঁস! ইন্টারনেটে মহিলার কীর্তিতে বইছে প্রশংসার বন্যা

আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বহুবার এমন স্ক্যামারদের মুখোমুখি হয়েছি যারা আমাদের আর্থিক ক্ষতি করার লক্ষ্যে বিপুল টাকার পুরস্কার দেওয়ার টোপ দিয়েছে। অনেকে আবার এমন হুমকিও পেয়েছেন যে, তাঁরা যদি অবিলম্বে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদান না করেন তবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত ভবিষ্যতের আশায় প্রতিটি পয়সা সঞ্চয় করার চেষ্টা করে, আর এইসব স্ক্যামাররা তাদের রাতারাতি বিঃশেষ করে দেয়।

সম্প্রতি, একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী একটি কেলেঙ্কারি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে স্ক্যামাররা পুলিশ কর্মকর্তাদের গলা অনুকরণ করে ব্যক্তিদের অর্থ দিতে বাধ্য করে। ওই মহিলা জানিয়েছেন যে, স্ক্যামাররা মানুষের মনে ভয়ের অনুভূতি তৈরি করে তাদের আর্থিক ভাবে শোষণ করে।

ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ক্লিপে, চরণজিৎ কৌরকে একটি ফোন নম্বর থেকে কারও সঙ্গে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে, যাতে দুই পুলিশ অফিসারের ছবি রয়েছে। লোকটি দিল্লি পুলিশের একজন বলে নিজেকে দাবি করেছে এবং তাঁকে জানিয়েছে যে তাঁর বোনকে একজন মন্ত্রীর ছেলেকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিদর্শক হিসাবে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি তখন তার বোনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা চায়। পুরো পরিস্থিতি দেখে বিরক্ত হয়ে, ওই মহিলাটি জানান তিনিই ওই মহিলা যাঁকে তাঁরা গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

ক্যাপশনে ওই মহিলা লিখেছেন, “অনেকেই কলে পুলিশের ছবি দেখে ভয়ে না বুঝেশুনেই টাকা ট্রান্সফার করে দেয় এবং সহজেই জালিয়াতির শিকার হয়ে যায়। আমি এই কেলেঙ্কারি সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। আপনারা যাঁরা যাঁরা দেখছেন তাঁরা সমস্ত পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে এই ভিডিও শেয়ার করুন, যাতে মানুষ ভয় না পেয়ে এই জালিয়াতির মোকাবিলা করে। আমি এই প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন ছিলাম তাই নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিলাম।”

এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সময়, অন্যরাও একই ধরনের স্ক্যামারদের মুখোমুখি হওয়ার গল্প শেয়ার করেছেন। একজন জানান, “আমার বাবাও এমনই একটি প্রতারণামূলক কল পেয়েছিলেন, তারা বলেছিল, ‘আপনার ছেলের নাম যোগেশ? আপনার ছেলে থানায় আছে, তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা হয়েছে, অথচ তখন আমি বাড়িতেই বসে ছিলাম। ওই পুলিশকর্মী সেজে ফোন করা স্ক্যামার বলছিল যে, আপনি যদি আপোস করতে চান তবে ৩০ হাজার টাকা পাঠান, না হলে ছেলেকে জেলে যেতে হবে।”