বিশ্বের অনেক মানুষ এটিকে সত্য বলে বিশ্বাস করলেও এর সত্যতা আবার অন্য কথা বলে। এই ফ্লাইট সংক্রান্ত খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, যা বছরের পর বছর ধরে সত্য বলে প্রচার করা হচ্ছে।

Knowledge Story: যতই প্রয়োজন পড়ুক, তবু প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে কখন-ও বিমান ওড়ে না, কেন জানেন? রয়েছে চমকে-দেওয়া কারণ

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগর হল প্রশান্ত মহাসাগর। যার একদিকে রয়েছে আমেরিকা, অন্য দিকে এশিয়া। মাঝে অথৈ জলরাশি। পূর্ব এশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে যাতায়াত করা এয়ারলাইন্সগুলি কখনওই সোজা পথে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে যায় না। বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হলেও বিমান সর্বদা বিকল্প পথ বেছে নেয়। কেন জানেন?
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগর হল প্রশান্ত মহাসাগর। যার একদিকে রয়েছে আমেরিকা, অন্য দিকে এশিয়া। মাঝে অথৈ জলরাশি। পূর্ব এশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে যাতায়াত করা এয়ারলাইন্সগুলি কখনওই সোজা পথে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে যায় না। বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হলেও বিমান সর্বদা বিকল্প পথ বেছে নেয়। কেন জানেন?
প্রথম কারণ হল, সোজা পথে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে পুরোটা পথ যেতে এয়ারলাইন্সগুলির অনেক বেশি খরচা হয়। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে প্রচুর জ্বালানির প্রয়োজন যা বিমান সংস্থার খরচ বাড়িয়ে দেয়। তারচেয়ে বরং ঘুরপথে স্থলভাগের উপর দিয়ে গেলে বিমানে কম জ্বালানি লাগে।
প্রথম কারণ হল, সোজা পথে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে পুরোটা পথ যেতে এয়ারলাইন্সগুলির অনেক বেশি খরচা হয়। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে প্রচুর জ্বালানির প্রয়োজন যা বিমান সংস্থার খরচ বাড়িয়ে দেয়। তারচেয়ে বরং ঘুরপথে স্থলভাগের উপর দিয়ে গেলে বিমানে কম জ্বালানি লাগে।
দ্বিতীয় কারণ হল, বিমান প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে টানা ১২-১৪ ঘণ্টা কখনওই ওড়ে না, কারণ, আচমকা যদি কোন-ও আপৎকালীন পরিস্থিতি হয়, তখন দ্রুত বিমানকে নীচে নামানো কঠিন। প্রশান্ত মহাসাগরের উপর আপৎকালীণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের জন্য জল ছাড়া কোনও  উপায় নেই। বিমানচালক সবসময় চেষ্টা করেন, ক্র্যাশ ল্যান্ডিং স্থলে করতে এবং সর্বোপরি অন্য কোনও বিমানবন্দরের কাছাকাছি করতে যাতে দ্রুত সাহায্য মেলে।

দ্বিতীয় কারণ হল, বিমান প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে টানা ১২-১৪ ঘণ্টা কখনওই ওড়ে না, কারণ, আচমকা যদি কোন-ও আপৎকালীন পরিস্থিতি হয়, তখন দ্রুত বিমানকে নীচে নামানো কঠিন। প্রশান্ত মহাসাগরের উপর আপৎকালীণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের জন্য জল ছাড়া কোনও উপায় নেই। বিমানচালক সবসময় চেষ্টা করেন, ক্র্যাশ ল্যান্ডিং স্থলে করতে এবং সর্বোপরি অন্য কোনও বিমানবন্দরের কাছাকাছি করতে যাতে দ্রুত সাহায্য মেলে।
বিমান সবসময় চেষ্টা করে জলের উপর দিয়ে যতটা কম সম্ভব ওড়ার। কারণ, জলের উপর ঝড়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি, স্থলভাগের উপর ঝড়ের সম্ভাবনা অনেক কম। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান সংস্থা বা পাইলটরা এড়িয়ে যান প্রশান্ত মহাসাগরের রুট।
বিমান সবসময় চেষ্টা করে জলের উপর দিয়ে যতটা কম সম্ভব ওড়ার। কারণ, জলের উপর ঝড়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি, স্থলভাগের উপর ঝড়ের সম্ভাবনা অনেক কম। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান সংস্থা বা পাইলটরা এড়িয়ে যান প্রশান্ত মহাসাগরের রুট।
জেট স্ট্রিমের কারণেও পাইলটরা প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে কখনও ওড়ে না। জেট স্ট্রিমের এক-ই দিকে যদি একটি বিমান ওড়ে তবে সময় ও জ্বালানি বাঁচবে। কিন্তু যদি বিপরীত দিকে ওড়ে তবে চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়বে বিমান।
জেট স্ট্রিমের কারণেও পাইলটরা প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে কখনও ওড়ে না। জেট স্ট্রিমের এক-ই দিকে যদি একটি বিমান ওড়ে তবে সময় ও জ্বালানি বাঁচবে। কিন্তু যদি বিপরীত দিকে ওড়ে তবে চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়বে বিমান।
তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। এশিয়া বা অস্ট্রেলিয়া থেকে আমেরিকা যায় বা আসে যে বিমানগুলি, সেগুলি প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে যাত্রা করে। এগুলিকে বলা হয় ট্রান্সপ্যাসিফিক ফ্লাইট। একটি উদাহরণ হল বোয়িং ৭৪৭।
তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। এশিয়া বা অস্ট্রেলিয়া থেকে আমেরিকা যায় বা আসে যে বিমানগুলি, সেগুলি প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে যাত্রা করে। এগুলিকে বলা হয় ট্রান্সপ্যাসিফিক ফ্লাইট। একটি উদাহরণ হল বোয়িং ৭৪৭।